সাগরের বালিরচরে ঝাউবাগান ধ্বংস করে প্যারাসাইলিং কোম্পানির অবৈধ স্থাপনা

কক্সবাজারের রামু খুনিয়াপালং পেঁচারদ্বীপ হিমছড়ি এলাকায় সরকারী সৃজিত ঝাউবাগান ধ্বংস করে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে প্যারাসাইলিং কো¤পানি ‘ফানফেস্ট’র অবৈধ স্থাপনা। ঝাউগাছের চারা উপড়ে ফেলে প্যারাসাইলিং কো¤পানি বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলে ওয়াচটাওয়ার, জেনারেটর ঘর, বিশ্রামাগার, স্টাফ থাকার ঘর, টয়লেট। তাদের স্থাপিত টয়লেটের কারণে পর্যটন এলাকায় মলমুত্রের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। তাতে পরিবেশের মারাতœক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের অধিনস্থ হিমছড়ি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ তারেকুর রহমান জানান, চলতি বছরে ২০ হেক্টর সাগরের বালিরচরে ঝাউবাগান গড়ে তোলে বনবিভাগ। কিন্তু সেখানে ব্যবসায়িক স্থাপনা নির্মাণ করে একটি প্যারাসাইলিং কো¤পানি। স্থানীয়রা জানিয়েছে, প্যারাসাইলিং এর আড়ালে ওইসব ঘরগুলোতে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের বিকিকিনি ও সেবন করা হয়।
তিনি জানান, সৃজিত ঝাউবাগান ধ্বংস করে অবৈধভাবে প্যারাসাইলিং স্থাপনের কারণে সংশ্লিষ্টদের অনেকবার সতর্ক করা হয়। তাদের অনুকূলে ডকুমেন্ট নিয়ে হাজির হতে বলা হয়। সরকারী খরচে সৃজিত ঝাউবাগান থেকে স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে অনেকবার তাগাদা দেয়া হলেও গুরুত্ব দেয়নি। বরং উল্টো বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি প্রদান করে। অবশেষে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক সোহেল রানার নেতৃত্বে শনিবার (৩ নভেম্বর) উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে বেশ কিছু অবৈধ কাঠ জব্দ করে বিট অফিসে নিয়ে আসা হয়। অবৈধ প্যারাসাইলিং কো¤পানির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার অফিসের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব জানান, প্যারাসাইলিং কোম্পানী কোন ধরণের অনুমতি বা অবগতি ছাড়া সাগরের বালুরচরে স্থাপনা করেছে। তাদের কারণে সাগরপাড়ের লাল কাকড়া, সামুদ্রিক কাছিমসহ জীববৈচিত্র নষ্ট হচ্ছে।
হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ একরামুল হক জানান, সৃজিত ঝাউ বাগান ধ্বংস করে প্যারাসাইলিং কোম্পানীর স্থাপনার বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে বেশ কিছু অবৈধ কাঠ জব্ধ করা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ