কপিরাইট হল একটা আইন যা লেখা কন্টেন্ট, ছবি, সফটওয়্যার কিংবা যে কোনো জিনিস এর লেখক, প্রকাশক বা মূল মালিকের স্বত্ব বা অধিকার সংরক্ষন করে যা প্রকাশকের অনুমতি ছাড়া আপনি ব্যক্তিগত কাজে অথবা অন্য কোনো কাজে সরাসরি কপি করে ব্যবহার করেন তাহলে এতে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন হবে।
বাংলাদেশে কপিরাইট আইনঃ
“বাংলাদেশ কপিরাইট আইন ২০০০”। এই আইনটি ১৮ জুলাই, ২০০০ সালে পাশ হয় এবং বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়। ইতোপূর্বে বাংলাদেশের “কপিরাইট আইন(১৯৭৪)” তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক জারিকৃত কপিরাইট আইন ১৯৬২ সনের সংশোধিত রূপে কার্যকর ছিল। তদানীন্তন পাকিস্তান সরকারের জারিকৃত ১৯৬২ সনের কপিরাইট আইনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এক সংশোধনীর মাধ্যমে “বাংলাদেশ কপিরাইট আইন-১৯৭৪ “ হিসেবে প্রচলন করা হয় এবং ১৯৭৪ হতে ২০০০ সালের ১৭ জুলাই পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
কপিরাইট সম্পদ দু’ধরনের, বস্ত্তগত সম্পদ এবং মেধাসম্পদ। কপিরাইট আইন আছে মেধা সম্পদের জন্য। মেধা সম্পদের আওতায় আছে- গবেষণাকর্ম, সাহিত্যকর্ম, নাট্যকর্ম, শিল্পকর্ম, সঙ্গীতকর্ম, অডিও-ভিডিওকর্ম, চলচ্চিত্রকর্ম, ফটোগ্রাফি, ভাস্কর্যকর্ম, সম্প্রচারকর্ম, রেকর্ডকর্ম, সফট্ওয়্যার, ই-মেইল, ওয়েব-সাইট, বেতার ও টেলিভিশন সম্প্রচারকর্ম ইত্যাদি। World Intellectual Property Organization (WIPO) এর মতে, ‘Intellectual Property refers to creations of mind: Inventions, literary and artistic works, and symbols, names, images, and designs used in commerce’।
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক নয়। আন্তর্জাতিক আইনেও কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ এড়ানোর জন্য কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন জরুরি। বাংলাদেশে কপিরাইট আইন মোতাবেক কপিরাইট সংক্রান্ত ফটোগ্রাফ, রেকডিং এবং চলচ্চিত্র ফিল্ম ব্যতীত কর্মের মেয়াদ কপিরাইট প্রণেতার মৃত্যুর পর ৬০ বছর থাকে।
২২ জুলাই রবিবার ২০১৮ইং তারিখ বাঁশখালীর জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল "বাঁশখালী নিউজ" এর কপিরাইট নিবন্ধন বিতরন অনুষ্ঠানে পত্রিকার প্রকাশক মোঃ মনছুর আলম ও সম্পাদক আব্দুল আলীম নোবেল এর হাতে কপিরাইট সনদ তুলে দেন কপিরাইট পরিদর্শক মোঃ আতিকুজ্জামান।
এসময়, বাঁশখালী নিউজ এর প্রকাশ উক্ত পত্রিকার সার্বিক সহায়তাকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময়, বাঁশখালী নিউজ এর প্রকাশ উক্ত পত্রিকার সার্বিক সহায়তাকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
1 মন্তব্যসমূহ
শুভ কামনা
উত্তরমুছুন