বাঁশখালীতে সাইক্লোন শেল্টার ১০২টি সংস্কার হচ্ছে ৯টি

ঘুর্ণিঝড় প্রবণ এলাকা চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৯১ এর পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু সাইক্লোন শেল্টার কাম স্কুল নির্মাণ করা হলে ও সংস্কারের অভাবে বেশ কয়টা সাইক্লোন সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে বাঁশখালীতে ১১৭ টি সাইক্লোন শেল্টারের মধ্যে ১০২ টি ব্যবহার উপযোগী থাকলেও বাকিগুলো পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। ফলে যে কোন দুর্যোগে উপকূলীয় জনগনকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে হয় মাইলের পর মাইল। বর্তমান সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাঁশখালীর ৯টি সাইক্লোন শেল্টার সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করা হয় ।
প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাইক্লোন শেল্টার সংস্কার কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ১টি দৈনিক পত্রিকায় টেন্ডার আহবান করে।
ছনুয়া ইউনিয়নের তোতকখালী রেডক্রিসেন্ট সাইক্লোন শেল্টার ১৪ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা ব্যয়ে, খুদুলকখালী নোয়াপাড়া সাইক্লোন শেল্টার ১৪ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে, বাঁশখালী বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার ১৪ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ে, সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল রেড় ক্রিসেন্ট আশ্রয় কেন্দ্র ১৪ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে, খানখানাবাদ প্রেমাশিয়া আশ্রয় কেন্দ্র ১৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ব্যয়ে, গন্ডামারা মাতব্বরপাড়া সাইক্লোন শেল্টার ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে, বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুর সাইক্লোন শেল্টার ১৪ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা ব্যয়ে, ও উত্তর বাহারছড়া সাইক্লোন শেল্টার ১৪ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা ব্যয়ে সংস্কারের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। কাজের শুরু থেকে কাজের মান নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠলে তা তদারকি ও পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। বর্তমানে তিনি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে নিয়ে ছনুয়া ইউনিয়নের তোতকখালী রেডক্রিসেন্ট ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, খুদুকখালী রেডক্রিসেন্ট ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং বাঁশখালী বঙ্গবন্ধু হাই স্কুল ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র মেরামত প্রকল্প ঘুরে দেখেন।
পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, বাঁশখালীর সকল উন্নয়ন কাজের ভাগিদার এই এলাকার সাধারণ জনগণ। তাই এলাকার উন্নয়ন কাজ গুলো কিভাবে হচ্ছে এবং কত টাকা ব্যয় হচ্ছে তা বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রতিনিধিদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের। যাতে করে কোন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করে ঠিকাদাররা পার পেয়ে না যায়। তিনি ঠিকাদারদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাজের গুণগতমান ঠিক রেখে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। না হয় কাজের বিল বন্ধ রাখা হবে এবং পুনরায় কাজ ভালভাবে সম্পন্ন না করা পর্যন্ত বিল প্রদান করা হবে।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম মিয়াজী, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী লিটনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
/আজাদী!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ