ঠোঁটে কালো দাগ?

বিএন ডেস্কঃ
সুন্দর ঠোঁটের মিষ্টি হাসি কে না ভালোবাসে? তবে সেই ঠোঁটেই যদি দেখা যায় কালো দাগ বা কালচে ভাব, তাহলে আর আক্ষেপের শেষ থাকে না। তাই ঠোঁটের এই কালচে ভাব এড়াতে চাই সচেতনতা ও বিশেষ যত্ন।
‘ঠোঁটে যেসব প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর ক্ষতিকর দিকও থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে এগুলো আমরা না বুঝেই ব্যবহার করছি। অনেক লিপস্টিকে প্যারাফিন নামে একটি উপাদান থাকে। এটি ঠোঁটকে কালো করে দেয়।’ বললেন হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার ক্লিনিকের রূপবিশেষজ্ঞ শাহীনা আফরিন।
আবার অতিরিক্ত ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহারেও ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। সেই শুষ্কতা থেকে ফেটে যাওয়ার ফলেও ঠোঁট কালো হয়। ঠোঁটকে মসৃণ ও আকর্ষণীয় রাখতে তাই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে যত্ন নেওয়াটাই সবচেয়ে ভালো বলে জানালেন শাহীনা আফরিন।


ঘরে থাকা উপাদান দিয়েই নেওয়া যায় ঠোঁটের যত্ন। শাহীনা আফরিন জানালেন ঘরোয়া তিনটি প্যাকের কথা।
১. মঞ্জিষ্ঠা দুধের সঙ্গে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে পেস্ট করে তা ঠোঁটে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর উষ্ণ পানিতে ভেজানো কটন বল দিয়ে ঠোঁট মুছে নিতে হবে। নিয়ম করে সপ্তাহে তিন দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হবে। আয়ুর্বেদ মতে, যেকোনো কালো দাগ দূর করতে মঞ্জিষ্ঠার গুণ অতুলনীয়।
২. তেজপাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এবার তেজপাতার সঙ্গে দুধের সর ও মধু মিশিয়ে পেস্ট বানাতে হবে। ঠোঁটে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর আলতোভাবে মুছে পরিষ্কার করে নিন। এই প্যাকটি রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করতে হবে। এটি নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁট মসৃণ, নরম ও গোলাপি আভা দেবে।
৩. এক টেবিল চামচ ঘি গরম করে, এর সঙ্গে আধা চা-চামচ ভাজা সুজি ও আধা চা-চামচ দারুচিনি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ফেলুন। এই প্যাকটি এক দিন পরপর ঠোঁটে ব্যবহার করুন। আলতোভাবে ঠোঁটে ঘষে ঘষে এই প্যাকটি লাগাতে হবে।

খেয়াল করুন
  •  লিপস্টিক বা লিপবাম কেনার সময় অবশ্যই উপাদানগুলো দেখে কিনুন।
  •  ম্যাট লিপস্টিক বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।
  •  রোদে যাওয়ার সময় লিপস্টিক ব্যবহারের আগে অবশ্যই ঠোঁটে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  •  ঠোঁট যেন কখনো অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে যায়।
  •  ঠোঁটে সব সময় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ভালো।
  •  সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি কটন বল ভিজিয়ে ঠোঁট মুছে নেওয়ার অভ্যাস করুন।
  •  প্রসাধনী ব্যবহারে সচেতন থাকুন।

কৃতজ্ঞতা: হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার ক্লিনিক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ