বঙ্গোপসাগরে মাছের ফাঁড় নিয়ে সংঘর্ষে নিখোঁজ ১, আহত ২১


রহিম সৈকত:
 বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ফাঁড় বসানো ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় আনোয়ারা উপজেলার গহিরা এলাকার জেলেদের সাথে বাঁশখালী উপজেলার জেলেদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার আনুমানিক দুপুর ১২টা নাগাদ উভয়পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
সংঘর্ষের পর খানখানাবাদ এলাকার জেলেদের মধ্যে এক জেলেকে সাগরেই খুন করার অভিযোগ আসছে। যদিও কূলে লাশ না পৌঁছানোয় নিখোঁজ বলে ধরে নিতে হচ্ছে। এই ঘটনায় ২১ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করে, মঙ্গলবার দুপুরে বাঁশখালী খানখানাবাদ এলাকার মোঃ এনাম ও আবুল বশরের মালিকানাধীন বড় মাওলানা ফিশিং বোটটি ২২ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে জাল ফেলতে যায়। গভীর সমুদ্রে জালের পার মারার সময় আনোয়ারা গহিরা এলাকার দুইটি বোট থেকে তাদেরকে হামলা ও মারধর করে। এসময় বোটটি সাগরে ডুবে গেলে খানখানাবাদ ২ নং ওয়ার্ড দোয়ালিয়া পাড়া এলাকার শামশুল আলম পুত্র মোঃ নাছির (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয় বলে দাবী করে।
বোটে থাকা সাদুর রশীদ বলেন, আমরা ২২ জন বোট নিয়ে সাগরে জাল ফেলতে যাই। এ সময় আনোয়ারা গহিরা এলাকার দুইটি বোট এসে আমাদেরকে মারধর করলে আমাদের বোটটি সমুদ্রে ডুবে যায়। আমরা প্রায় ১ ঘণ্টা আমরা সাগরে ভাসমান ছিলাম। অন্য একটি বোট এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে সাগর পাড়ে নিয়ে এলেও নাছির নিখোঁজ রয়েছেন।

বোটে থাকা সাদুর রশীদ বলেন, আমরা ২২ জন বোট নিয়ে সাগরে জাল ফেলতে যাই। এ সময় আনোয়ারা গহিরা এলাকার দুইটি বোট এসে আমাদেরকে মারধর করলে আমাদের বোটটি সমুদ্রে ডুবে যায়। আমরা প্রায় ১ ঘণ্টা আমরা সাগরে ভাসমান ছিলাম। অন্য একটি বোট এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে সাগর পাড়ে নিয়ে এলেও নাছির নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, নিহত নাছির ১২ বছর আগে সে বিয়ে করে কদমরসুল কুইন্নার পাড়া এলাকার মো: মুহিবুল্লার মেয়ে রানু আক্তারকে বিয়ে করে। সে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে কন্যা সন্তানের জনক।

এ ব্যাপারে খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. বদরুদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমার ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকা থেকে ২২ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে দুপুরে বঙ্গোপসাগর জাল বসাতে যায়। এ সময় আনোয়ারা গহিরা এলাকার ২টি বোট তাদেরকে হামলা করে। এতে নাছির নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়।

এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম বলেন, প্রতিবছর এই সময়ে তিনমাস এই সমস্যা হয়। গত বছর বাঁশখালীতে এইটা নিয়ে একটা বৈঠক হয়। দুই এলাকার জেলে সম্মত হয়েছিল তারা বিরোধে জড়াবে না, কিন্তু তারা আবার বিরোধে জড়িয়ে যাচ্ছে। ব্যাপারটা নিয়ে আমরা আবার বসব। একটা সুরাহা করতে তো হবে।

সূত্রঃনিউজ হান্ট/কেএইচ


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ