বাঁশখালীর বাহারছড়ায় অভিযানে নতুন ইটভাটা গুটিয়ে দিলেন ইউএনও

মোহাম্মদ এরশাদঃ
বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুরে নব-নির্মিত ইটভাটা গুটিয়ে দিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার এবং পরিবেশ অধিদপ্তর ও পুলিশের যৌথ টিম।

আজ রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বাহারছড়া রত্নপুর গ্রামের আজিজুল হকের নব-নির্মিত ইটভাটা গুটিয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিবেশ আইন অমান্য করে ইটভাটা তৈরি ও কার্যক্রম পরিচালনা করায় ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে গুটিয়ে দেওয়া ইটভাটার মালামাল নিলামে দিয়ে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩শ’ টাকা আদায় করা হয়।

জানা যায়, বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুরে নুরুল ইসলামের পুত্র আজিজুল হক গ্রামের অভ্যন্তরে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নতুন

ইটভাটা তৈরির কাজ শুরু করলে স্থানীয় জনগণ প্রতিবাদমুখর হয়ে পড়ে।

তারই প্রেক্ষিতে আজ রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার ও পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম-এর সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম, বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অধ্যাপক তাজুল ইসলাম,সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ও রত্নপুর বিট কর্মকর্তা নুরু আলম মিয়া নাহিদ,বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত টিম এ ইটভাটা গুটিয়ে দেয়।

এ সময় এলাকার শত শত জনতা এটা দেখার জন্য ভিড় জমায়।

এদিকে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিবেশ আইন অমান্য করে ইটভাটা তৈরি ও কার্যক্রম পরিচালনা করায় ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হলেও ১ লাখ টাকা নগদ আদায় হয়। বাকি টাকা এ বিকালে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জমা হয়নি বলে সূত্রে জানা যায়। ইটভাটা গুটিয়ে দেওয়ার পর ইটভাটার মালামাল নিলামে দিলে সেই মালামাল থেকে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩শ’ টাকা আদায় করা হয়।

উল্লেখ্য, বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে আধ কিলোমিটারের ব্যবধানে লোকালয়ে ও ধানি জমিতে আরো ৪টি ইটভাটা কার্যক্রম চালাচ্ছে বিগত কয়েক বছর ধরে।

সেই ইটভাটার মালিকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে প্রতি বছর অসংখ্যবার দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়ে থাকে।

চলতি বছরও ইশলায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের দ্বন্দ্বের কারণে।

বিগত দিনে এ ইটভাটাগুলো ভেঙে দেওয়ার জন্য অসংখ্যবার অভিযান পরিচালনা করা হলেও অদৃশ্য কারণ ও এ ব্যাপারে মামলা থাকায় গুটিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।

ফলে শীত ও ইট কাটার মৌসুমে এ এলাকার জনগণকে তটস্থ থাকতে হয় দাঙ্গা-হাঙ্গামার আশংকায়।

এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার বলেন, “জনবসতি এলাকায় পরিবেশ আইন অমান্য করে এ স্থাপনা করায় তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং মালামালগুলো নিলাম দেওয়া হয়েছে।” যারা পরিবেশের ক্ষতি করবে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ