করোনায় মৃতব্যক্তির পাশে দাঁড়ালেন সৎকার স্বেচ্ছাসেবক সংঘ বাঁশখালী শাখা ও গাউছিয়া কমিটি

মোহাম্মদ এরশাদঃ
বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মাস্টার বাড়ীর মৃত উপেন্দ্র লাল দাশের পুত্র অমলেন্দু বিকাশ দাশ (৬২) নামের এক বৃদ্ধ করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।

তিনি চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালী সংলগ্ন বাসভবনে জ্বর, সর্দি ও করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত ১৩ জুলাই তিনি করোনা পরীক্ষা দেন এবং ১৬ জুলাই করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর থেকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। এরমধ্যে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করলেও  (২০ জুলাই) সকালের দিকে তিনি মারা যান। 

বিকালে মৃত অমলেন্দু বিকাশ দাশের লাশ শীলকূপ নিজ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। উক্ত মৃতদেহ সৎকার বাঁশখালী শীল সমিতির সভাপতি ও বাঁশখালী মৃতদেহ সৎকার স্বেচ্ছাসেবক সংঘের আহবায়ক ডা.আশীষ কুমার শীলের নেতৃত্বে বাঁশখালী গাউছিয়া কমিটির ৫ জন ও বাঁশখালী মৃতদেহ সৎকার স্বেচ্ছাসেবক সংঘের ১০ জনসহ মোট ১৫ সদস্যের একটি টিম নিয়ে মৃতদেহ সৎকার সম্পন্ন  করেন।

বাঁশখালী শীল সমিতির সভাপতি ও সৎকার স্বেচ্ছাসেবক সংঘের আহবায়ক ডা. আশীষ কুমার শীল বলেন, কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে   মৃত্যবরন করেন অমলেন্দু বাবু। উনার মৃতদেহ সৎকার করতে আমার নেতৃত্বে বাঁশখালী করোনা মৃতদেহ সৎকার সেচ্ছাসেবক সংঘের ১০ জনের টিম সহযোগিতা করেন। একইভাবে গাউছিয়া কমিটির সদস্যরাও সহযোগিতা করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার সৎকার শেষ হওয়া পর্যন্ত আমাদের খোঁজ নেন। আমরা অমলেন্দু বাবুর অকাল মৃত্যেতে সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ