জামায়াত ভিন্ন নামে আসে কিনা দেখতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী একটি জঙ্গিবাদী সংগঠন ছিল। তারা নতুন নামে পুরোনো রূপে ফিরে আসে কি না, তাও এখন খতিয়ে দেখার বিষয়। কারণ জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতাকারী এবং জঙ্গিবাদী যে ধারণাগুলো আছে সেই ধারণা ও চিন্তাগুলো তাদের। এ জন্য আরেকটি ভিন্ন নামে সংগঠন করার এটি একটি অপপ্রয়াস কি না—সেটিও আমাদের দেখা দরকার।
আজ শনিবার দুপুরে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেওয়া, নতুন নামে দল গঠন করাসহ আরও কিছু কর্মপন্থা নিয়ে জামায়াতের ভেতরে একটি অংশ সক্রিয় হয়। মধ্যপন্থী হিসেবে পরিচিত এই অংশের বিরুদ্ধে তৎপর আছে কট্টরপন্থী অংশও। এ নিয়ে দলটির ভেতরে দুটি ধারার সৃষ্টি হয়েছে।
দলটির একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, মধ্যপন্থী অংশটি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার কারণে ঐতিহাসিক লজ্জা থেকে মুক্ত হতে চায়। তাদের অন্যতম ছিলেন আবদুর রাজ্জাক। যদিও দলের ভেতরে মধ্যপন্থা বা উদার নীতিকৌশল গ্রহণে আগ্রহী এই অংশের বেশির ভাগ অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং একাত্তরের পরের প্রজন্ম। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের প্রতি মানুষের আবেগ, মানবতাবিরোধী অপরাধে নেতাদের সাজা ও ইসলামপন্থী রাজনীতির বিশ্ব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে দলের নাম পরিবর্তন করে আধুনিক ধাঁচের দল গড়ার পক্ষে।
গতকাল শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বিশিষ্ট আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক পদত্যাগ করেছেন। যুক্তরাজ্যে থেকে তি​নি জামায়াতের আমিরের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান।
আবদুর রাজ্জাক পদত্যাগপত্রের শেষ দিকে লেখেন, ‘এখন থেকে আমি নিজস্ব পেশায় আত্মনিয়োগ করতে চাই। সেই সঙ্গে ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধিশালী ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করব।’
এ বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে দেশের সেবায় কাজ করে যাব। নতুন দল করার ব্যাপারে কোনো চিন্তা করছি না।’
যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেওয়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি।
চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে দীপু মনি আরও বলেন, দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এ পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। ছোটখাটো যে ব্যত্যয়গুলো ঘটেছে তা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে সে জন্যে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা নেবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জীবন কানাই চক্রবর্তী প্রমুখ।
/প্রথম আলো!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ