অনলাইনেই মিলবে আরএস খতিয়ান

বি,এন ডেস্কঃ
দেশব্যাপী আর এস খতিয়ান অনলাইনে অবমুক্তকরণ কার্যক্রমমের উদ্বোধন করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
‘আর এস খতিয়ান’ অ্যাপ্লিকেশনটি মূলত ‘জমি’ নামক জাতীয় ভূমি-তথ্য ও সেবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের (www.land.gov.bd) একটি অংশ। এছাড়া মোবাইল অ্যাপ, ‘rsk.land.gov.bd’ এবং ‘drroffice.land.gov.bd’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক ঘরে বসে অথবা নিকটস্থ যেকোনো ডিজিটাল সেন্টারে অথবা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে নিজের জমি সংক্রান্ত তথ্য দেখার সুযোগ পাবেন।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে 'হাতের মুঠোয় খতিয়ান' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
অনলাইনে আর এস খতিয়ান প্রাপ্তির ফলে জনগণের ভোগান্তি অনেকাংশে হ্রাস পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মামলার ভোগান্তি এবং মধ্য-স্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস পাবে।
এছাড়া নাগরিকের সময়, খরচ এবং যাতায়াত কমে যাবে বলেও মনে করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সর্বোপরি স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে। সেবাগ্রহীতাগণ খুব সহজেই এখন নির্দিষ্ট ফি প্রদানের মাধ্যমে আর এস খতিয়ান পেতে পারেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, সেবাগ্রহীতাগণের সুবিধার্থে অভিযোগ কেন্দ্র গঠনের জন্য হটলাইন, সরকারের সাথে ভূমি সম্পর্কিত বিভিন্ন লেনদেনের জন্য ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালুকরণের জন্য একটি পেমেন্ট গেটওয়ে স্থাপন, অনাবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দেওয়ার জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু এবং ল্যান্ড ব্যাংক করার বিষয়গুলও প্রক্রিয়াধীন।
এগুলো মূলত পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ইন্টিগ্রেটেড অটোমেশনের ভেতর নেওয়ার পর্যায়ক্রমিক ধাপ। খুব শীঘ্রই সমগ্র বাংলাদেশকে ই-মিউটেশনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেবার পর আমি ৯০ দিনের প্রাথমিক কর্মসূচী গ্রহণ করি। মেয়াদের প্রথম দেড় বছর ‘স্বল্প মেয়াদী’, পরবর্তী দেড় বছর ‘মধ্যম মেয়াদী’ এবং শেষ দুই বছরকে ‘দীর্ঘ মেয়াদী’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পুরো পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনার ‘ডেডলাইন’ সাজিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় সু-শাসন নিশ্চিত করা সম্ভব। সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো। ভূমি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন যেন টেকসই সেজন্যে আমরা বদ্ধপরিকর।
ইতিমধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর গুলোতে কর্মরত গণকর্মচারীবৃন্দ সম্পত্তির হিসেব জমা দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, জেলা প্রশাসনে কর্মরতরা নিজ নিজ কালেক্টরেট অফিসে সম্পদের হিসেব দিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা তা জানবেন।
বিডি২৪লাইভ/এএইচ/এসএস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ