বাঁশখালী ইকোপার্কে নানা অনিয়ম ও পর্যটক ভোগান্তি

চট্টগ্রামের প্রায় জায়গায় ইতিহাস -ঐতিহ্য সম্বলিত ও পর্যটক আকর্ষণ করার মতো অনেক নিদর্শন রয়েছে তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর অরণ্যক সৌন্দর্য মন্ডিত বাঁশখালী ইকোপার্ক। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা উঁচুনিচু পাহাড়, লেকের স্বচ্ছ পানি,বনাঞ্চল ও বঙ্গোপসাগরের বিস্তৃত তটরেখা নিয়ে গঠিত বাঁশখালীর এই ইকোপার্কটি। পাহাড়-নদী,বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য, আঁকাবাঁকা পাহাড়ী সড়ক,চারপাশে ঘন-সবুজের সমারোহ, বন্যহাতির বিচরণ, হরেক রকমের চেনা অচেনা মন মাতানো পাখির বিচরণ, দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু,সুউচ্চ টাওয়ারসহ অনেক আরণ্যক সৌন্দর্য ও চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী দর্শনার্থীদের কাছে টানে। ছুটির দিন,শুক্রবার, ঈদ সহ বিভিন্ন উৎসবে, বিশেষ করে শীত মৌসুমে পর্যটন স্পট বাঁশখালী ইকোপার্কে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। বাঁশখালী ছাড়াও দূরদুরান্ত থেকেও দর্শনার্থীর আনাগোনা চোখে পড়ার মত। গত ১৮ জানুয়ারী  ইকোপার্কে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের অনেকেই জানান, বাঁশখালীর কোথাও পরিবার পরিজনদের নিয়ে বিনোদনের তেমন কোন স্থান নাই। খোলামেলা প্রাকৃতিক পরিবেশের এই ইকোপার্কটিতে ঘুরে ফিরে সময় কাঠানো যায়। তবে ইকোপার্কে এসে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। নাই কোন উন্নত মানের খাবার হোটেল। যে কয়েকটি টয়লেট আছে সবগুলো পরিত্যক্ত, কোন সংস্করণ নাই। বসার ছিটগুলো অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন বলে জানান। আরো বেশ কয়েকজন দর্শানার্থী  জানান, আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পার্কে ঘুরতে যাই কিন্তু বাঁশখালী ইকোপার্কের মত অনিয়ম আর কোথাও দেখি নাই। যেমন পার্কে ঢুকতেই যেই প্রবেশ টিকেট দেওয়া হয় ঐ টিকেটে কোন মূল্য লিখা নাই , টাকা যা নেওয়া হয় টিকেটে লিখে দোওয়া হয়না। টাকা নিয়ে খালী টিকেট দিয়ে দেওয়া হয়। কারো কাছ থেকে ২০ টাকা কারো কাছ থেকে ৩০ টাকা কারো কাছ থেকে ৪০ টাকা এভাবে ইচ্ছা মতো নেয়া হয় বলেও জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ