বাঁশখালীতে পুলিশের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ১

বি,এন ডেস্কঃ
আদালতের আদেশে ক্রোকি পরোয়ানা জারির পর আসামি ধরতে গিয়ে বাঁশখালী থানা পুলিশের এএসআই প্রদীপ চক্রবর্তী ও এএসআই নুরুন নবী হামলার শিকার হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত এএসআই প্রদীপ চক্রবর্তীকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হলে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তবে এএসআই নুরুন নবী বাঁশখালী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পুলিশ সদস্য হামলার শিকার হওয়ার পর পৌরসদরের দক্ষিণ জলদী গ্রামের জাকের হোসেনের পুত্র জমির উদ্দীন প্রকাশ কালুর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ অভিযানে সময় হামলাকারী কালুর মা শামসুন্নাহরকে (৪০) আটক করা হয়েছে। পরে বাঁশখালী থানার (ওসি) তদন্ত কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আসামির বাড়ি থেকে আদালতের নির্দেশে ক্রোকি পরোয়ানা তামিল করে আসামির অস্থাবর সম্পত্তি গরু, ফার্নিচার, টিন, গাছ ও ধান সিজার লিস্ট করে জব্দ করে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুপুরে (আনোয়ারা সার্কেল) এএসপি মফিজ উদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করেছেন। বাঁশখালী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী পৌরসদরের দক্ষিণ জলদী গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের মৃত জাকের হোসেনের পুত্র জমির উদ্দীন প্রকাশ কালুর বিরুদ্ধে চন্দনাইশ থানায় মামলা দায়ের হয়। পলাতক আসামি হিসেবে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকের সমন জারি করেন। সমনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার সকালে বাঁশখালী থানার এএসআই প্রদীপ চক্রবর্তী আসামির বাড়িতে জমির উদ্দীন প্রকাশ কালুকে আটকের জন্য অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ির লোকজন উত্তেজিত হয়ে পুলিশের এএসআই প্রদীপ চক্রবর্তীর ওপর দা ও লাঠি দিয়ে হামলা করে। গুরুতর আহত হয়ে এএসআই প্রদীপ চক্রবর্তী মাটিতে লুটে পড়েন। তাকে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করে প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার আয়েশা মুনমুন চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
চিকিৎসক জানান, আহত পুলিশ কর্মকর্তার মাথায় আঘাত গুরুতর। অধিক রক্তক্ষরণ হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন বিধায় তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, আদালতের আদেশে মালামাল ক্রোকের পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি জমির উদ্দীন প্রকাশ কালুকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত শামসুন্নাহারকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বাদি হয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আহত পুলিশ চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সুত্রঃদৈনিক পূর্বকোণ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ