খানখানাবাদে রশিদ ও ফজলের দ্বিমুখি টেলাটেলির চাপায় অতিষ্ঠ স্থানীয়রা

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার ৩ নং খানখানাবাদ ইউপস্থ ৯ নং ওয়ার্ড পূর্ব রায়ছটা গ্রামের মনছুর আলী মহুরি বাড়ির চলচলের পথ আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর পূর্বে ঐ বাড়ীর পূর্ব পুরুষেরা স্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীতে বাড়ীর চলাচলের পথটি সরকারী নিয়মানুযায়ী সরকারী চলচলের পথ হিসেবে পরিণত হয়। এছাড়াও এটা একই এলাকার ঐতিহ্যবাহী একটি মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের চলচলের উপযোগী রাস্তা ছিল।
বিগত ২/১ বছর পূর্ব থেকে উক্ত বাড়ীর চলাচলের পথটির ভাঙ্গন শুরু হয়। এই বিষয় প্রায় একবছর পূর্বে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম উক্ত বাড়ীর চলাচলের পথ সংস্করণের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করে বাড়ীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে আলাপ-আলোচনা কালে বাড়ীর ২/৩ জন অসাধু ব্যক্তি সংস্করণের বিরোধীতাতামূলক বিভিন্ন আচরন করায় সংস্করণ করা সম্ভব হয় নাই। এইবিষয়ে গত বছর বাঁশখালী নিউজে একটি প্রতিবেদন করা হলে, উক্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষীতে স্থানীয় চেয়ারম্যন মোহাম্মদ বদুরুদ্দিন ও স্থানীয় ইউপি সদস্যগন সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গন মিলে পুনরায় সংস্করণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। উক্ত প্রদিবেদনের প্রেক্ষিতে বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যন জহিরুল ইসলাম লিখিত ভাবে অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করলেও তিনি একজন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে নিজ দায়িত্বে বিষয়টি সমাধানের জন্য কোন আগ্রহ দেখান নাই বলে জানা যায়।
দিন দিন ভাঙ্গনের মাত্র বৃদ্ধি পেয়ে উক্ত বাড়ীর চলাচলের পথ সম্পূর্ণ বিলিন হয়ে পাশের একটি পুকুরের সাথে মিলে গেছে। বাড়ীর বাসিন্দারা সহ মাদ্রাসার অনেক ছাত্রছাত্রীদের ইতিপুর্বে বর্ষার মৌসুমের মত এক হাটু পানিতে হেটে কাদামাখা অবস্থায় চলাচল করতে হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, উক্ত বাড়ীর চলাচলের পথ সংস্করণের বিরোধিতা করছেন একই বাড়ীর রশিদ আহম্মদ ও ফজল কাদেরসহ তাদের পৃষ্টপোষকতারা। তাদের লক্ষ্য হল, ঐ বাড়ীর সাধারণ বাসিন্দারা সহ মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা কস্টের বিনিময়ে চলাফেরা করুক আর তারা শহরে বসে বসে তা দেখতে থাকবে। বাড়ীর ঐ দুই ব্যক্তি সপরিবারে শহরে বসবাস করায় তাদের কিছু আসে আর যায় না বলে জানা যায়। এমনকি বাড়ীর ভুক্তভোগীরা সবায় মিলে কয়েকবার পথটি সংস্করণের চেষ্টা করলেও ঐ দুইজন সহ তাদের পৃষ্টপোষকতাদের বিরোধীতার কারণে সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও রশিদ আহম্মদ উক্ত চলাচল পথটির উপর টয়লেট নির্মান সহ সীমানা দেওয়াল দিয়ে একেবারের চলাচলের অনুপযোগি করে তুলে বলে জানা যায়।
  বাড়ির ভুক্তভোগি বাসিন্দারা সহ মাদ্রাসার কিছু ছাত্রছাত্রীরা বাঁশখালী নিউজকে জানান, বাড়ির বাসিন্দারা অনেকে কস্টের বিনীময়ে চলাচল করছে। তাদের কোন মেহামান আসলে মানসম্মান ক্ষুন্ন হয় বলে জানায়। মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের জন্য উক্ত চলাচল পথ ছিল কাছের এবং নিরাপদ। উক্ত পথ সংস্করণ না হওয়ায় বর্ষা মৌসমে ছাত্রছাত্রীদের অনেক দূর দিয়ে মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করতে হয়, এতে তাদের অনেক সময় নষ্ট হয় বলে জানায়। ঐ বাড়ির ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের একটায় আর্তনাত, "আমরা কি আগের মত মানসম্মান নিয়ে সুন্দরভাবে চলাচল করতে পারব না?"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ