স্কিমগুলোর গ্যারান্টি সরকার নিজেই- চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যেক নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে জানিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, ‘সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য পেনশন স্কিমের বিকল্প নেই। আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিম অত্যন্ত জরুরি। অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ১৮-৫০ বছর বয়সি সকল বাংলাদেশি নাগরিক এই পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবে। তবে বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকগণ ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন জমা প্রদান করলে পেনশন সুবিধা পাবেন।’

বুধবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় নগরীর টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘টেরীবাজারের ব্যবসায়ী ও কর্মচারী ভাইদের মাঝে সার্বজনীন পেনশন স্কিম : সচেতনতা ও স্পর্ট রেজিস্ট্রেশন’ শিরোনামে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ আমিনুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন (সিআইপি), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ, চসিকের ২০ নম্বর দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোছাইন। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘স্কিমগুলোর গ্যারান্টি সরকার নিজেই। সরকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসতে হবে।’ জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘সকল নাগরিকের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার সার্বজনীন পেনশন স্কিম ব্যবস্থা চালু করেছে। এটি বাস্তবায়নে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত এ জেলায় সাড়ে ২৭ হাজার ব্যক্তি পেনশন স্কিমের আওতায় এসেছে। বাংলাদেশে সার্বজনীন পেনশন স্কিম একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি একটি রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সার্বজনীন পেনশনের আওতায় আপাতত চার ধরনের স্কিম চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রবাসীদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি স্কিম, অনানুষ্ঠানিক খাত অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রয়েছে সমতা স্কিম। সরকার গত বছর সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করার পর ব্যাপক সাড়া পড়লে একটি মহল এটি নিয়ে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাতে থাকে। পেনশন স্কিমের নামে নাকি সরকার মানুষের পকেটের টাকা নিয়ে যাচ্ছে। পেনশন স্কিমের সুবিধা কী তা দেশের মানুষ এখন বুঝতে পারছে।’ এর আগে অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে সার্বজনীন পেনশন স্কিমের ধারণা, উদ্দেশ্য, উপকারিতা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন জেলা প্রশাসক। সার্বজনীন পেনশন স্কিমের চারটি স্কিমের মধ্যে কে কোন স্কিমের আওতায় পড়বে, সে বিষয়ে ধারণা দেন তিনি। পরে জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে উপস্থিত ব্যবসায়ীদের প্রশ্নের জবাব দেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ