বাঁশখালীতে সোর্সের মাদক ব্যবসায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, পর্ব-১

মোঃ মনছুর আলম (এম আলম): চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মাদকবিরোধী অভিযান বা মাদক নির্মূলে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশের কথিত কিছু সোর্স। পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে তারা বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করছে। অভিযোগ রয়েছে, কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য মাদক উদ্ধার করে সোর্স মানি হিসেবে মাদক দিয়ে থাকে। তাই ঐ মাদক ফের বিক্রেতাদের কাছে চলে যাচ্ছে। সোর্সরা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধাও পেয়ে থাকে। যারা সুবিধা দিতে পারে না; তাদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। এসব সোর্স আবার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে খুব বেশি ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

উপজেলার কালীপুরের সোর্স হিসেবে আলোচিত রামদাস মুন্সি হাট পুলিশ ফাঁড়ির সোর্স রহিম। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, অবৈধ অস্ত্রবহন-ব্যবহার, নিরীহ লোকজনকে ফাঁসিয়ে অর্থ আদায় সহ হুমকি-ধামকি দিয়ে চাঁদা আদায় ও কন্টাকে সাংবাদিককে হামলা করার অভিযোগ রয়েছে। ফাঁড়ির এস আই মোঃ শহীদের ছত্রছায়ায় থেকে সোর্স রহিম এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। এই রহিম কালীপুরের আমির হোসেন প্র: বাইশ্যার ছেলে। পুলিশ সূত্র জানায়, আসামী ধরা ও অপরাধীদের স্থান নির্ধারণ করতে ব্যক্তিগতভাবে সোর্সের সহযোগিতা নিতে পারে। তবে থানায় সোর্সের আনাগোনাও রাখা যাবে না এমনটাই নির্দেশনা ছিল পুলিশ সদর দপ্তর থেকে। তাই এসআই শহীদের সাথে সোর্স রহিমের এমন প্রকাশ্য আনাগোনা এখানে প্রশ্নবিদ্ধ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সোর্স রহিমের নেই কোন দৃশ্যমান কর্ম। প্রায় দীর্ঘ ২ বছর আগে রামদাস মুন্সি হাট ফাঁড়িতে এসআই শহীদের যোগদানের পরপর তার সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে রহিমের। পুলিশের সাথে বিভিন্ন অভিযানে গিয়ে রহিম হয়ে উঠে নামধারী সোর্স। বর্তমানে সোর্স রহিমের নাম শুনলে এলাকার লোকজন আঁতকে উঠেন। তার দৌরাত্মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। কালীপুরের কিছু কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে সোর্স রহিম আর্থিক সুবিধা পাওয়ায় তাদের উপরে পুলিশের কোন বড় অভিযান হয় না। যারা সুবিধা দিতে পারে না তাদেরকে পুলিশকে ধরিয়ে দেয় এবং সোর্স মানি হিসাবে পায় মাদক। আর এই মাদক আবারও তার গণ্ডির মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেয়। এভাবেই এসআই শহীদের ছত্রছায়ায় থেকে অন্তরালে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সোর্স রহিম। এছাড়াও এই সোর্স রহিম এলাকায় নিরীহ মানুষকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে এসআই শহীদকে ব্যবহার করে প্রহসনের অভিযান পরিচালনা করায়। শুধু তাই নয়, রাতের আধারে আসামী ধরিয়ে দিনে লোক দেখানো ছাড়িয়ে নেওয়ার তদবিরও চালায় এই সোর্স রহিম।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, কালীপুর এলাকায় যেসব লোকজন পুলিশী হয়রানীর শিকার হয়, এসবের নেতৃত্বে থাকে সোর্স রহিম, পেছনে থাকে এসআই শহীদ। তাদের কাছে হয়রানী হয়ে বেশ কিছু ভুক্তভোগী পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ