প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ১ম স্থান


মো: মনছুর আলম (এম আলম): অজপাড়া গাঁয়ের এক সুনামধন্য উচ্চ বিদ্যালয়ে জেএসসি'তে জিপিএ ৫ সহ বৃত্তি পাওয়া ছাত্রীটি আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দেশব্যাপী সম্মেলিত ভাবে ১ম স্থান অধিকারী। গত ১৬ মে প্রকাশিত ফলাফলে ২৬ হাজার ৯০৮ জন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০৬.২৮ নম্বর পেয়ে তাসমিনের ১ম স্থান অর্জনের খুশিতে আত্মহারা সকলেই। এ পরীক্ষায় অংশ নেন মোট ৭৪ হাজার ৫৫৯ জন শিক্ষার্থী। এমনই আনন্দের উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর  তাসমিনের জেএসসি'র ফলাফল প্রকাশের পরও। তাসমিনের এমন দেশজুড়ে সাড়াজাগানো সাফল্যকে সংবর্ধনা জানাতে কোরবান ঈদের ৩য় দিন রায়ছটা প্রেমাশিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পরিচালনা পর্ষদ, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অবিভাবক সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। 

তাসমিন আক্তার সানিয়া চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা খানখানাবাদ ইউনিয়নস্থ পূর্ব রায়ছটা গ্রামের মোঃ মনছুরুল আলম ও বেবি আক্তার দম্পতির মেজো মেয়ে। তার বড় ভাই মাসুদুল আলম চট্টগ্রামের পটিয়ায় খলিলমীর কলেজে অর্থনীতি বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র। আর ছোট ভাই মিনহাজুল আলম চট্টগ্রাম নগরীর এমইএস বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেন। তারা সকলেই পিএসসি পাশ করেন একই এলাকার ২০নং পূর্ব রায়ছটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে।

তাসমিনের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায় হলেও পরিবারসহ বর্তমানে থাকেন নগরীর চকবাজার এলাকায়। বাবা ফটিকছড়ি বিএমসি ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতা করেন আর মাতা গৃহিণী। পরিবারের মেজো মেয়ে তাসমিন ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিলেন। রায়ছটা প্রেমাশিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে পরিবার সহ পাড়ি জমান চট্টগ্রাম নগরীতে। সেখানে কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ পেয়ে মেধার স্বাক্ষর রাখেন তাসমিন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও উপস্থিত অতিথিসহ সকলেই তাসমিন আক্তারের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করেন। এসময় খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জসিম হায়দার সহ অতিথিগণ তাসমিনের ভবিষ্যতে পড়ালেখার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

তাসমিনের বাবা মনছুরুল আলম তার মেয়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করে বলেন, আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখায় ভাল ছিল। মেয়ের আগামীদিনের পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য যা-কিছু করা প্রয়োজন তার সবকিছুর জন্য প্রস্তুত আছেন তিনি। এসময় তাসমিন তার এমন সাফল্যের পেছনে তার মা-বাবা ও বড় ভাই সহ শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সাথে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন তাসমিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ