বাঁশখালীতে ভাংচুর, ক্ষয়ক্ষতি ও সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ


গত ২৬ এপ্রিল ২০২০ইং তারিখ থেকে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হওয়া "বাঁশখালীতে বাড়িতে ভাংচুরে ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি।গ্রামবাসী’র ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা" শিরোনামের  সংবাদটি আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। যাহা মুলত মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং মানহানিকর। 

আমরা প্রতিবাদকারী মোরশেদ ও কাদের, উভয় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের বাসিন্দা হই। উক্ত প্রকাশিত সংবাদে গত ২৩ এপ্রিল র‍্যাব অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পর আমরা ২০/৩০ জনের একটি দল নিয়ে এলাকার মফিজুর রহমানের পুত্র কবির আহমদ, আবদুর রহিমের পুত্র আবছার, শমশুল ইসলামের নুর মোহাম্মদ, ছিদ্দিক আহমদের পুত্র আবদু শুক্কুর, মাহামুদুল ইসলাম ও আবু বক্করের পুত্র জাকের উল্লাহর বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট সহ আহমদ মিয়ার পুত্র নুরু (২৮), আবছারের স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৫), ছিদ্দিক আহমদের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৩০), জাকের উল্লাহর পুত্র খোরশেদ (১৫) ও মফিজুর রহমানের পুত্র কবির আহমদ (৪৫)সহ ১০ জনকে আহত এবং আহতদেরকে হাসপাতালে আনতেও বাঁধা প্রদান করার কথা উল্লেখ করলেও আমাদের জানা মতে ঐদিন এমন কোন ঘটনা ঘটছে বলে আমাদের জানা নেই।

মূলত ঐদিন সরলের আলোচিত সমালোচিত সন্ত্রাসী নুর মোহাম্মদ সহ তার গ্রুপের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্য তাদের ও উল্লেখিত ব্যক্তিদের বাড়িঘরে অভিযান চালায় র‍্যাব। এসময় আবুল কালাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মুহিবুল্লাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। সে নুর মোহাম্মদ গ্রুপের অন্যতম সদস্য। র‍্যাবের এমন অভিযানে আমরা র‍্যাবকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছি অনুমান করে তাদের বাড়ি ঘরে জিনিসপত্র উলোটপালোট করে সাংবাদিক ভাইদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে এমন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করায়। উক্ত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সচেতনমহল সাক্ষী দিবে আসলে ঐদিন কি ঘটেছিল আর কি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। উক্ত বানোয়াট সংবাদ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য প্রশাসন সহ সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ।

প্রতিবাদকারী
মোরশেদ ও কাদের।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ