বাঁশখালীতে ড্রাইভার-যাত্রীর কথা কাটাকাটিতে যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত ১২ অধিক

মোহাম্মদ এরশাদঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে অন্তত ১২ জন অধিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ঃ ৩০ ঘটিকার সময় উপজেলার ২নং সাধনপুর চারা বটতল এলাকার প্রধান সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।

আহত বাস যাত্রী  ও চৌকিদার বশির জানান,বৃহস্পতিবার সকালে পেকুয়া উপজেলার টইটং থেকে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার পথে একটি যাত্রী বাহী স্পেশাল বাস (কক্সবাজার -জ-১১-০০২৬) উপজেলার সাধনপুর চারা বটতল এলাকায় পৌঁছলে ভাড়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে বাসচালক এবং হেলপারের সাথে যাত্রীদের কথা কাটাকাটির একপযার্য়ে ড্রাইভার ইচ্ছাকৃতভাবে বাসটি খাদে ফেলে পালিয়ে যায়।

এতে গাড়ীতে থাকা ৪৫-৫০ জন যাত্রীদের মধ্যে অন্তত ১২ জন অধিক যাত্রী বিভিন্ন ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আহতদের মধ্যে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, গুনাগরি আধুনিক হাসপাতালে ৪ জন, মা-শিশু জেনারেল হাসপাতালে ৩ জনসহ মোট ১১ জন চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।

আহতদের মধ্যে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়া আহতরা হলেন- মিনজিরীতলা এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র দক্ষিণ কাথরিয়া বাইলা খলিফা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কাশেম (৫৫), নাপোড়া এলাকার শাহ আলমের পুত্র আব্দুল খালেক (৩৬), উ. জলদী এলাকার মৃত আবুল কাশেমের পুত্র মো. কাউচার (৪২), শীলকূপ এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের পুত্র বদিউল আলম। মো. নাজিম উদ্দীন (২৭), বৈলছড়ি মাইদার পাড়া এলাকার আহমদ মিয়া চৌধুরীর স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৩০), খানখানাবাদ কদম রসুল এলাকার মৃত নুর আহমদের পুত্র শামশুল আলম (৬০), শেখেরখীল এলাকার মৃত কবির আহমদের পুত্র মো. রিদুয়ান (৩০), মোস্তাফা আলীর পুত্র রেজাউল করিম (৩৬), মৃত গোলামুর রহমানের পুত্র মাহমুদুল ইসলাম, গুনাগরি এলাকার মৃত গনী চৌধুরী পুত্র নাছিমুল গনী চৌধুরী (৪৯)। এদের মধ্যে গুরত্বর আহত আব্দুল খালেক ও নাজিম উদ্দীনকে চট্টগ্রাম চমেক হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার পর পরই ওই বাসের ড্রাইভার ও হেলপাররা পালিয়ে যায়।
দুর্ঘটনা কবলিত বাস যাত্রী মিনজিরীতলা এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র দক্ষিণ কাথরিয়া বাইলা খলিফা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কাশেম জানান, আমার পাশ্বে অন্য সিটে বসা একযাত্রী ২টি সিট নিলেও তাদের ছোট্ট একটা বাচ্চার ভাড়া খুঁজে বাস হেলপার, ওই বাচ্চার ভাড়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে বাস ড্রাইভার-হেলপার ও যাত্রীদের সাথে কথা কাটাকাটির একপযার্য়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বাসটি খাদে ফেলে ড্রাইভার লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।তাই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি বাস এবং হেলপারদের উপযুক্ত বিচার চাই। ভাগ্য ভাল যে এতে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে কর্মরত ডা. উপসনা বড়ুয়া জনান, বাস দুর্ঘটনায় আহত ৪ জনকে আমার চিকিৎসা প্রধান করেছি। একজনকে চমেকে প্রেরণ করেছি। বাকীরা অন্যান্য প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ