বাঁশখালীতে কোরবানীর পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম বানাতে ব্যস্ত কামারেরা

মোহাম্মদ এরশাদঃ
আগামী ১২ আগষ্ট ২০১৯ সোমবার কোরবানির ঈদ মহা ব্যস্ত কামারীরা। সময় কম কাজ বেশি নতুন দা-চুরি তৈয়ারি আবার পুরান মালের শান যেন দম ফেলানোর সময় নাই।দিন-রাত টুং টাং শব্দে আগুনে পু্ঁড়ে পুঁড়ে নিখুঁতভাবে তারা তৈরি করছেন কোরবানীর পশু জবাইয়ের আনুষঙ্গিক মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম।বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদুল আজহা যখন খুব সন্নিকটে তখনই ব্যস্ত হয়ে পড়ে কামারীরা। কামাইরগ্যাদের দোকানে দোকানে বঁটি, ছুরি, চাপাতি, ধামাসহ পশু কাটার যাবতীয় কিছু তৈরি ও শান (ধার) কাজে নির্ঘুম রাত পার করছেন কামাররা। বাঁশখালীর বিভিন্ন কামরাইগ্যার দোকান গুলো ছাড়াও অস্থায়ী গরুর হাটেও বিক্রি করতে দেখা যায়। হান্ডি-ডেকসির দোকানেও দা-চুরি প্রচুর দেখা যাচ্ছে , চোখে পড়ার মত কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে  দামদর ও বিকিকিনি। কামররা সারা বছর বসে থাকলেও এখন কিন্তু আগুনের গরমে কথাও গরম। কোরবানির ঈদ সামনে চাহিদাও কয়েকগুণ। তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে কামার শিল্পীদের কর্মব্যস্ততা। ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানের ঈদের সময়টার জন্য অপেক্ষায় থাকেন তারা। সারা বছর টুকটাক কাজ হয়। তেমন টাকা-পয়সা পাওয়া যায়না । কাজের চাপ থাকলেও মজুরি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় কামাররা। আর ক্রেতাদের অভিযোগ- কামারশালায় সব কিছুর দাম বেড়েই চলেছে। কিন্তু শ্রমিকরা জানান, পুঁজির অভাবে কামার পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন অনেকে। সারা বছর বেচাবিক্রি নেই শুধু কোরবানির ঈদে বেশি বিক্রি হয়। দিন-রাত কাজ করে কূল পান না। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা দা, ছোরা, চাপাতি বানাতে বানাতে ব্যস্ত থাকতে হয়। অনেক কামারের একই কথা   এই পেশা বাপ-দাদার ঐতিহ্য হিসেবে ধরে আছি। কোরবানিতে কিছুটা কাজের চাপ থাকলেও সারা বছর কোনোভাবে দিন কাটে বলে জানান।কেউ কেউ  বলেন, কোরবানিতে হুজুরেরা গরু জবাইয়ের জন্য লম্বা লম্বা ছুরি ব্যবহার করেন। এ সময় ছুরি-ধামা বেশ ভাল চলে। এক একটা ছুরি-ধামা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় ধরে বিক্রি ও অর্ড়ার করে বানিয়ে নিচ্ছে বলেও জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ