ঈদের ছুটিতে ভ্রমন পিপাসু দর্শনার্থীদের পদভারে মুখর বাঁশখালী সমুদ্রসৈকত

জাহেদুল ইসলাম মিরাজঃ ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বৈরী আবহাওয়ার পরও দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে বাঁশখালীর বাহারছড়া সমুদ্রসৈকত। বাঁশখালীর প্রথম একমাত্র প্রকৃতির রুপের সাজানো এক দৃশ্য যেন বাঁশখালী সমুদ্রসৈকতে ঈদের দিন থেকে দর্শনার্থীতে ঠাসা রয়েছে। 

এদিকে দর্শনার্থীরা যাতে নিরাপদে বাহারছড়া সমুদ্রসৈকত ঘুরে দেখতে পারে সেজন্য বাঁশখালী পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।

স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন  প্রান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা সমুদ্রের বিভিন্ন বৈচিত্রময় দৃশ্য ও সারি সারি ঝাউগাছ, উত্তাপ্ত সাগরের গজর্ন ঢেউয়ের তালে তালে যেন বিলিন করে দেয় হৃদয়ের কান্না আর একটু খানি আনন্দের আশায় ভীড় করছে বাঁশখালী বাহারছড়া সমুদ্রসৈকতে। 

ঈদের দিন থেকে শুরু এখনো পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজারের মত দর্শনার্থীরাই আসছেন বাঁশখালী সমুদ্রসৈকতে।

সরজমিনে দেখা গেছে, ঈদের দিন থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ও হাল্কা রোদ উপেক্ষা করে বাঁশখালী সমুদ্রসৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ভ্রমণের জন্য এখন দর্শনার্থীরা বাঁশখালী সমুদ্রসৈকতে ভীড় করছে। 

দর্শনার্থীরা সমুদ্রসৈকত ঘুরে তাদের পছন্দমত ছবি তুলে বিভিন্ন ভাবে গণমাধ্যমে ছবি পোস্ট করছেন এবং অনেক দর্শনার্থীর মতে এটি অবিকল কক্সবাজার। অনেকে আবার বলে থাকেন গরীবের কক্সবাজার।

জানা গেছে, ঈদুল ফিতরে সমুদ্রসৈকতে দর্শনার্থী আগমনকে ঘিরে আগে থেকে বিভিন্ন ধরনের দোকান খেলনার জিনিস  স্পিডবোড দিয়ে সমুদ্রসৈকত কে নানা ধরণের  বর্ণিল সাজে আরো আকর্ষনীয় করে তুলেছে। দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগ যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরীরা প্রকৃতির সাজনো সমুদ্রসৈকত কে দেখার পাশাপাশি সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মনের সুখে উপভোগ করছেন নান্দনিক বৃক্ষ রাজির ফাঁকে ফাঁকে নবনির্মিত বিচরণ করা ব্লক দিয়ে সাজানো বেড়িবাঁধ । কেউ কেউ আবার বেড়িবাঁধ ব্লকে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছেন।

তবে এখন বেশ আকর্ষন  ইতোমধ্যে বাঁশখালী বাহারছড়া সমুদ্রসৈকত ঈদের দিন বৃষ্টির কারণে দর্শনার্থী একটু কম হলেও পরদিন থেকে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের ভীড় বাড়ছে। ঈদের দিন থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০হাজার দর্শনার্থীর আগম ঘটেছে । প্রতিদিন অন্তত ৩ থেকে ৫ হাজার দর্শনার্থীর আগমন । আরো বেশ কয়েকদিন দর্শনার্থীদের এ সমাগম থাকবে। বিশেষ করে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ