এসময় ঘরে ভিতরে থাকা মালেক ও মতলবের বয়োবৃদ্ধ( মা) বাইশ্শা খাতুন(৮৫) মতলবের (স্ত্রী) ও কোলে থাকা ৫ মাসের শিশু পাশে বসে থাকা ৪ বছরের অবুঝ শিশু কন্যা ও সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে জানের ভয়ে ঘর থেকে বের হলে তাদের মধ্যে মতলবের (স্ত্রী) নাসিমা আক্তার উপর্যপুরি মেরে আহত করে।
এই ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা উপস্থিতি টের পেয়ে ১নং বিবাদী আবদুল মালেক ও তার সহযোগী নুর হোসেন অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে বাড়ির পূর্বদিকে পাহাড়ি এলাকার দিকে পালিয়ে যায়। উপস্থিত স্থানীয়রা আহত ভিকটিম নাসিমা আক্তার কে বাঁশখালি হাসপাতালে ভর্তি করান।
চিকিৎসার শেষে ভিকটিম নাসিমা আক্তার ১ নং আব্দুল মালেক ২নং নূর হোসেন'কে বিবাদী করে ১৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং তারিখে বাঁশখালী থানায় একটি
লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত অংশ আব্দুল মালেক অনেক আগেই বিক্রি করে এলাকা ত্যাগ করেছেন। দীর্ঘ বছর পর এলাকায় এসে ছোট ভাইয়ের প্রাপ্ত অংশে ভাগ বসাতে চাইছিলেন ১নং বিবাদী আব্দুল মালেক ভাগ বসাতে না পেরে ছোট ভাই, আবদুল মতলবকে নিয়ে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র।
ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই পেতে পরিবার পরিজন বয়োবৃদ্ধ (মা)কে নিয়ে সুখে শান্তিতে বাঁচতে দিনমজুর আব্দুল মতলব স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে সালিশের আয়োজন করেন ওই সালিশকারদের মাধ্যমে বড় ভাইকে নিজের বসত ভিটা থেকে কিছু অংশ ১নং বিবাদীকে দান পত্র করে
দিতে চাইলে ১নং বিবাদী ছাফ বিক্রি কবলা করে দিতে বললে ছোট ভাই, অপারগতা জানান।
ছোট ভাই আবদুল মতলব জানান তার বড় ভাইকে ছাফ বিক্রি কবলা করে দিলে তিনি কিছুদিন থাকার পর অন্ত্র বিক্রি করে দিবেন। সে ভয়ে টাকা ছাড়া ছাফ বিক্রি কবলা না দিয়ে দানপত্র দিতে চেয়েছেন।টাকা ছাড়া ছাফ বিক্রি কবলা করে না দেওয়ায় নতুন করে সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলা ছাড়াও করে হামলা। ১৭ই সেপ্টেম্বর সকাল ১০ ঘটিকায় হামলা করে ক্লান্ত হননি ১নং বিবাদী একইদিন রাত ২টার সময় হামলা করে বয়োবৃদ্ধ (মা) ৫মাসের কোলের শিশু সহ ৪ শিশু কন্যা সন্তানের ঘরে।
মতলবের দেওয়া অভিযোগের সততা জানতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়। দুই রুম বিশিষ্ট টিনের ঘরটির তিন পাশে দা দিয়ে কোপানো।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় কয় একজন জানান ১৭ ই সেপ্টেম্বর সকাল এবং দিবাগত রাতে অভিযুক্ত অপরাধীরা দফাই দফাই দুইবার হামলা করেছে আব্দুল মতলবের বসত ঘরে। এই বিষয়ে বাঁশখালী থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান তদন্ত করে ঘটনার সততা ফেলে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ