লাশের সাথে পাওয়া ৩৪ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলো বাঁশখালীর সন্তান

ডেস্ক রিপোর্টঃ
 লাশের সাথে পাওয়া ৩৪ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিলেন পুলিশ সদস্য অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় বের করতে গিয়ে পাওয়া ৩৪ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়ে সততার ইতিহাসে আবারো দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আমির হোসেন।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত অবস্থায় নগরীর আকবর শাহ থানাধীন এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় আহত অজ্ঞাত পরিচয়ের বৃদ্ধকে নিয়ে আসে পথচারীরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করলে তাঁর পরিচয়ের জন্য বৃদ্ধের লাশের তল্লাশী করেন তিনি। এসময় তিনি সেখানে একটি পাঞ্জাবির প্যাকেটসহ ২টি টাকার বান্ডিলে ৩৪ হাজার ৬শত ৭৫ টাকা পান। 

তল্লাশি করে জানা যায় বৃদ্ধের নাম রুহুল আমিন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলার জাফর নগর এলাকার মৃত ওসমান গণির ছেলে।  নগরীর খুলশী বক্কর কলোনি এলাকায় দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে তিনি সেখানে গৃহশিক্ষক হিসেবে আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করেন।

লাশের সাথে পাওয়া টাকাসহ লাশটি হস্তান্তর করেন আকবর শাহ থানার এস আই বদিউজ্জামানের কাছে। তিনি আগামীকাল লাশ নিতে আসা সন্তানের কাছে টাকাগুলো হস্তান্তর করবেন বলে জানান। এসময় তিনি বলেন, আমির টাকাগুলো দিয়ে পুলিশের সততার পরিচয় দিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আমিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভাসছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

পুলিশ সদস্য আমির হোসেনের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। সে পশ্চিম চাম্বল 'বাংলাবাজার এলাকার বহদ্দার বাড়ির মৃত হাজী বদী আহমদের ছেলে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আমির হোসেন বলেন, লাশের পরিচয় জানতে জরুরি বিভাগে লাশ ঘরে রুহুল আমিন নামে এক মৃত ব্যক্তির লাশের তল্লাশি করি। তল্লাশি করে তিন ভাগে ৩৪ হাজার ৬ শত ৭৫ টাকা। লুঙ্গির মধ্যে ডান পাশে খোঁচানো ২৫ হাজার, বাম পাশে ৯ হাজার ও পাঞ্জাবির প্যাকেটে ৬ শ ৭৫ টাকা পাই। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া স্যারেকে জানিয়ে টাকা গুলি হস্তান্তর করি।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির  ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল হক ভূঁইয়া সিভয়েসকে জানান, আমির পুলিশ বাহিনীর গর্ব। এর আগেও অজ্ঞাত নামা রোগীর টাকা ও বিভিন্ন জিনিসপত্র যত্নসহকারে হস্তান্তর করেছে।
/সিভয়েস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ