ওয়াগন লাইনচ্যুত, ১০ কিমি এলাকাজুড়ে যানজট

নগরীর সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় তেলের ট্যাংকারবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। গতকাল দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সড়কের ওপর ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় যান চলাচলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। আশপাশের প্রায় ১০ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে যানজট লেগে যায়। একে তো তীব্র রোদ তার ওপর যানজট সবমিলিয়ে নগরবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সড়কের একপাশ দিয়ে কোনোভাবে ছোট কিছু গাড়ি চলাচল করলেও বড় যানবাহনগুলো প্রায় তিন ঘণ্টা যাবত ঠাঁই দাঁড়িয়ে ছিলো। অনেকে তীব্র রোদ উপেক্ষা করে অনেকে হেঁটে গন্তব্যস্থলের দিকে ছুটেছেন। অন্যদিকে বিমান বন্দরে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান সড়ক হওয়ায় বিদেশগামী যাত্রীরাও বিপাকে পড়েন। অনেকেই বিমানের ফ্লাইট ধরতে ব্যর্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিকেলের দিকে রিলিফ ট্রেন এসে দুর্ঘটনাপতিত ট্রেনটিকে উদ্ধার করলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলো এই ঘটনার রেশ। বলা যায়, পুরো নগরীতেই ছিলো এই দুর্ঘটনার প্রভাব। রেলওয়ে পূর্বঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, গতকাল বুধবার দুপুরে গুপ্তখাল থেকে ওয়াগনটি বন্দরে পিজিটিওয়াই ইয়ার্ডে যাওয়ার পথে লাইন থেকে তিনটি ওয়াগন পড়ে যায়। বিকালে উদ্ধাকারী রিলিফ ট্রেন সেগুলোকে উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে সৃষ্ট যানজট বারিক বিল্ডিং মোড় ও ইপিজেড মোড় ছড়িয়ে কয়েক কিলোমিটার পার হয়ে যায়। এদিকে বিমান বন্দরের উদ্দেশ্য রওনা দিয়ে আগ্রাবাদ মোড় থেকে বিকল্প পথে বিমান বন্দরে পৌঁছান মাইক্রোবাস চালক মোহাম্মদ বাদশা। তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, আগ্রাবাদ পৌঁছালে জানতে পারি সল্টগোলা এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনা আছে। তাই হালিশহর দিয়ে বিকল্প পথে বিমানবন্দরে যেতে হয়েছে। এরমধ্যে হালিশহরের হুজুরের বাড়ির সামনে গাড়ির চাকা মাটিতে আটকা পড়ে। পুরো পথটাই ভোগান্তি পোহাতে পোহাতে অবশেষে এক দেড়ঘণ্টা পরে বিমানবন্দরে পৌঁছাই।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ট্রাফিক বন্দর জোনের পরিদর্শক (প্রশাসন) এসএম শওকত হোসেন জানান, বেলা সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি বন্দরে প্রবেশের সময় সল্টগোলা ক্রসিংয়ে ইঞ্জিনের পেছনের তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। এতে দুই পাশে কয়েক কিলোমিটারের বেশি যানজট সৃষ্টি হয়। তবে বেলা সাড়ে ৪টার দিকে রেলওয়ের রিলিফ ট্রেন ওয়াগনগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
/আজাদী! 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ