আগুনে পুড়ছে বনানীর এফআর টাওয়ার

বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের ৩২ নম্বর হোল্ডিংয়ে ২২ তলা ওই ভবনে আগুন লাগার পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা এরশাদ হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের ২১টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে।  দুটি হেলিকপ্টার দিয়েও আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে।
মো. গিয়াস উদ্দিন নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওই ভবনের পঞ্চম তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পর তা উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণ বাঁচাতে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের একজন সাংবাদিক জানান, ওই ভবন থেকে অন্তত সাত জন লাফিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের গাড়িতে তুলে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
যাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে সিরি ইন্দ্রিকা (৪৬) নামে এক শ্রীলংকান নাগরীকও রয়েছেন।  তিনি হাতে আঘাত পেয়েছেন বলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানিয়েছেন।
ভবনের উপরের দিকের বিভিন্ন ফ্লোরের জানালা ভেঙে সাহায্যের আশায় হাত নাড়তে দেখা যায় অনেককে।
ভবনের সামনে উৎকণ্ঠিত ভিড়ের মধ্যে মহিউদ্দিন নামের একজন জানান, তার ভাই মোতাহার এফ আর টাওয়ারের ১৪ তলায় একটি বায়িং হাউজে কাজ করেন। বেশ কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে তিনি ভেতরে আটকা পড়ে আছেন। ফোনে ভাইয়ের সঙ্গে তার কথাও হয়েছে।  
বেলা ৩টার পর ফায়ার সার্ভিসের মই দিয়ে ১২ তলার ওপর কাচ ভেঙে কযেকজনকে বের করে আনা হয়। তখনও অষ্টম তলায় দেখা যাচ্ছিল আগুনের শিখা।
ভবনের সামনে জড়ো হওয়া জনতার অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দেরির কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বেশি।
গার্মেন্টের বায়িং হাউজ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস, বিক্রয় কেন্দ্র, রেস্তোরাঁ ও একটি কনভেনশন সেন্টার রয়েছে ওই ভবনে। সেসব প্রতিষ্ঠানে মোটামুটি কত মানুষ কাজ করেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। 
এফআর টাওয়ারের তৃতীয় তলায় রয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখা। পাশের ভবন আওয়াল সেন্টারে রয়েছে বেসরকারি কুইনস বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস।  পাশের ভবনগুলোতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কে রয়েছে মানুষ।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি। কেউ কেউ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কথা বললেও সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।     
ভবনের সামনে বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতার কারণেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজে বেগ পেতে হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন

  •  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ