বাঁশখালী থানা থেকে আটককৃত সোর্স রহিম সহ ২ জনকে ছাড়ার অভিযোগ


গাজী গোফরান: ২৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার) মধ্য রাতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন কালিপুর সদর আমিন হাট এলাকা থেকে মদ খেয়ে মাতলামি করার অপরাধে ২ জনকে আটক করেন বাঁশখালী থানা পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠে। আটককৃতরা হলেন কালীপুরের আমির হোসেন প্র: বাইশ্যার ছেলে মো: রহিম উদ্দিন হৃদয় ও একই এলাকার নাসির প্র: রাসেল। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, আটক কালীন সময় রাসেলের পরনে ছিল গেঞ্জি আর রহিম ছিল খালী গায়ে।

জানা যায়, রাত ১ টা ১০ মিনিটের দিকে থানা পুলিশের নীল ব্যানে পুলিশের একটি টিম তাদেরকে মদ্যপ অবস্থায় আটক করেন। এসময় তারা দুজন পুলিশের কাছে মাদক সেবনের কথা স্বীকার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়াও তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও এব্যাপারে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন ও আনোয়ারা- চন্দনাইশ- বাঁশখালী সার্কেল কামরুল ইসলামকে মুঠোফোনে বেশকয়েকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার কালীপুরে  পুলিশের হাতে মধ্যপ অবস্থায় আটক এই রহিম প্রকাশ্যে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। তার বিরুদ্ধে মাদক, অবৈধ অস্ত্রবহন-ব্যবহার, নিরীহ লোকজনকে ফাঁসিয়ে অর্থ আদায় সহ হুমকি-ধামকি দিয়ে চাঁদা আদায় ও সাংবাদিককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। কতিপয় পুলিশের ছত্রছায়ায় থেকে সোর্স রহিম এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সোর্স রহিমের নেই কোন দৃশ্যমান কর্ম। প্রায় দীর্ঘ ২ বছর আগে রামদাস মুন্সি হাট ফাঁড়িতে কতিপয় পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে রহিমের। পুলিশের সাথে বিভিন্ন অভিযানে গিয়ে রহিম হয়ে উঠে নামধারী সোর্স। বর্তমানে সোর্স রহিমের নাম শুনলে এলাকার লোকজন আঁতকে উঠেন। তার দৌরাত্মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। কালীপুরের কিছু কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে সোর্স রহিম আর্থিক সুবিধা পাওয়ায় তাদের উপরে পুলিশের কোন বড় অভিযান হয় না। যারা সুবিধা দিতে পারে না তাদেরকে পুলিশকে ধরিয়ে দেয় এবং সোর্স মানি হিসাবে পায় মাদক। আর এই মাদক আবারও তার গণ্ডির মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেয়। এভাবেই পুলিশের ছত্রছায়ায় থেকে অন্তরালে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সোর্স রহিম। এছাড়াও এই সোর্স রহিম এলাকায় নিরীহ মানুষকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে কতিপয় পুলিশ ব্যবহার করে প্রহসনের অভিযান পরিচালনা করায়। শুধু তাই নয়, রাতের আধারে আসামী ধরিয়ে দিনে লোক দেখানো ছাড়িয়ে নেওয়ার তদবিরও চালায় এই সোর্স রহিম।

এছাড়াও কালীপুর এলাকায় যেসব লোকজন পুলিশী হয়রানীর শিকার হয়, এসবের নেতৃত্বে থাকে সোর্স রহিম, পেছনে থাকে কতিপয় পুলিশ। তাদের কাছে হয়রানী হয়ে বেশ কিছু ভুক্তভোগী পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ করেনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ