চট্টগ্রামের বাজারে এসেছে বাঁশখালী কালিপুরের লিচু

বি,এন ডেস্কঃ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী কালিপুরের সুস্বাদু রসালো লিচু এখন চট্টগ্রামের হাট-বাজারে আসতে শুরু করেছে। দিনাজপুর কিংবা রাজশাহীর লিচুর মতো আকারে বড় না হলেও এ জাতের লিচু দেখতে সুন্দর, খেতেও বেশ সুস্বাদু। চট্টগ্রামসহ এর আশপাশের এলাকায় এ লিচুর চাহিদা ব্যাপক। তাছাড়া মওসুমের সেরা ফল তাই দাম বেশি হলেও উৎসুক ক্রেতার কমতি নেই। বর্তমানে ১শ’ লিচু বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
বাঁশখালী কালিপুর জাতের রসালো লিচু ছাড়াও চলতি বছর দিনাজপুরের বেদানা, রাজশাহীর বোম্বে, বারি-১, ২, ৩ ও ৪ এবং চায়না-৩ জাতের লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী ছাড়াও খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে এখন সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, পটিয়া ও আনোয়ারার পাহাড়ীয়া গহীন অরণ্যে মৌসুমী বিভিন্ন ফল চাষের পাশাপাশি লিচু চাষও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাঁশখালীর কালিপুর, গুনাগড়ি, পুকুরিয়া, সাধনপুর, চেচুরিয়া,  জলদি জঙ্গল কালিপুর, কোকদন্ডি, সাতকানিয়ার জঙ্গল মাদরাসা, ধর্মপুর, চন্দনাইশের হাশিমপুর, ধোপাছড়ি, দোহাজারী, লালুটিয়া, জঙ্গল হাশিমপুর, কাঞ্চননগর, ছৈয়দাবাদ, বাহুলীপাড়া, মুন্সিপাড়া, ময়নার ডোব, জঙ্গল জামিজুরী, পটিয়ার কেলিশহর, হাইদগাও, খরনা, আনোয়ারার বড় উঠানে গ্রামের পর গ্রামে গাছে লিচু পাকার সাথে সাথে বাগানে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারী লিচু ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও শুরু হয়েছে।
প্রায় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাঁশখালী কালিপুরের সুস্বাদু লিচুর সুনাম এখন চট্টগ্রামসহ সমগ্র দেশজুড়ে। জানা গেছে, পাহাড় বেষ্টিত দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, পটিয়া, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালী উপজেলার গহীন অরণ্যে শত শত বাগানে আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, আনারস, আপেল ও বাউকুলের পাশাপাশি এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতের লিচু চাষ হচ্ছে।
পটিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শৈবাল কান্তি নন্দি জানান, স্থানীয় চাষীদের উন্নত প্রশিক্ষণসহ ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করে দেয়ায় এ অঞ্চলে মৌসুমী ফল চাষের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি চাষীরা এখন বিভিন্ন জাতের  লিচু চাষে ঝুঁকে পড়েছে। চলতি মওসুমে সব ধরনের লিচুর আশাতীত ফলন হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. খসরু মিয়া জানান, চট্টগ্রাম জেলায় বিভিন্ন মৌসুমী ফলের পাশাপাশি চাষীরা এখন হরেক রকম লিচু বাগান করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চাষীদের সাধ্যমত সহযোগিতা করছে।
দৈনিক সংগ্রাম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ