বাঁশখালীতে দূর্বিত্তদের আগুনে পুড়ল সৃজিত বাগান! ক্ষয়ক্ষতি ২ লক্ষাধিক

বর্বরতার সীমা থাকে। সীমাহীন বর্বরতাকে সভ্য সমাজে আইয়্যামে জাহেলিয়াত বলে। মানুষ অপরাধ করলে তার জন্য পশু পাখি গাছপালা কেন দোষের শিকার হবে? বিনা অপরাধে কেনইবা বাগানে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বৃক্ষশুন্য করবে। সৃজিত বাগানে আগুন ধরিয়ে পরিবেশের চরম ক্ষতির অন্যতম কাজটি করেছে কিছু দূর্বিত্তরা। মানুষ কতটুকু বর্বর হলে এরকম জঘণ্য কাজটি করতে পারে? মানুষের বিবেক কতটুকু বিলুপ্ত হলে বাগানে আগুন ধরিয়ে বৃক্ষ নিধনের কাজ করার দুঃসাহসিক পরিচয় দিতে পারে?

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পাহাড়ি ফলন্ত গাছ ও ঔষধি বনজ বাগানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নোর জঙ্গল কালীপুরে।

গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টার সময় কিছু বনদস্যু এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানায় বাগানের মালিক কালীপুর ইউনিয়নের মরহুম জহিরের পুত্র ডাঃ রমিজ আহমদ।

কে বা কারা এসব করছে জানতে চাইলে তিনি জনপদকে বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে কিছু লোক আমার বাগানে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। সরাসরি না দেখার কারণে আপাতদ কাউকে চিহ্নিত করতে পারছিনা। তবে পূর্ব শত্রুতার জেরে কিছু লোক একাজটি সংঘটিত করছে বলেও জানান। আমি ও আমার পরিবারের অায়ের অন্যতম অবলম্বন বাগানটি। কে বা কারা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের অর্থনৈতিকভাবে ঘায়েল করল, তাদের অত্যচারে এলাকা ছাড়া করার জন্য আমার ও আমার পরিবারে সদস্যদের এভাবে অদৃশ্যে ক্ষতি করে যাচ্ছে।

রমিজ আহমদ আরো জানান, দূর্বিত্তরা বাগানের চারদিক থেকে একসাথে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পুরো বাগানকে ভষ্মিভূত করে দিয়েছে। ফুলে ভরা আম, লিচু, কাঁঠাল, বরই, জাম্বুরাসহ বিভিন্ন জাতীগাছ ও ঔষধি গাছের বাগানটিতে আগুন ধরিয়ে দিলে পুরো বাগান শেষ হয়ে যায় অল্প সময়ের ব্যবধানে। এতে ২শতাধিক বৃক্ষ নির্চ্ছিন্ন হয়ে যায়। যার ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দু'লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে।
/সেবা হট নিউজ!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ