থানা থে‌কে বের ক‌রে দেওয়া হ‌য়ে‌ছে সংবাদ স‌ম্মেল‌নে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী

বাঁশখালীতে নির্বাচনী পথসভায় হামলার শিকার হয়ে মামলা করতে গেলে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।
এমনকি এ ঘটনায় ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে উল্টো মামলা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী এসব অভিযোগ করেন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বাঁশখালী নিউজকে বলেন পু‌লি‌শের উপর হামলাকারী‌দের বিরু‌দ্ধে ১৭ জন নামধারী এবং অজ্ঞতানামা আরও ১০০-১২০ জনকে আসামী ক‌রে পু‌লিশ বা‌দি মামলা (মামলা নং-৩৭) করা হ‌য়ে‌ছে ব‌লে জানান। মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর সম‌র্থিত লোক জন‌কে আট‌ক এবং মামলা বিষ‌য়ে জান‌তে চাই‌লে তি‌নি জানান গণসং‌যো‌গের না‌মে যারা জ্বালাও পুড়াও এবং বিদ্যুৎ লাইন বি‌চ্ছিন্ন ক‌রে,পু‌লি‌শ সদস্য‌দের‌ উপর হামলার ঘটনা ঘ‌টি‌য়ে‌ছে সেসব দুস্কৃ‌তি কারীর বিরু‌দ্ধে মামলা।মূলত তা‌দের‌কে চি‌হ্নিত ক‌রে গ্রেপ্তার দেখা‌নো হ‌য়ে‌ছে ব‌লে নি‌শ্চিত ক‌রেন । চাম্বল ইউ‌পি চেয়ারম্যান মু‌জিবুর রহমান বিষ‌য়ে জান‌তে চাই‌লে তি‌নি ব‌লেন কে বা কারা ঘটনা ঘ‌টি‌য়ে‌ছে তা তা‌দের জানা নাই । থানা সু্ত্রে জানা নুরুলকা‌দের নামক আওয়ামীলীগ সম‌র্থিত এক ব্য‌ক্তি বাদী হ‌য়ে ৩৮ জনকে নামদারী অজ্ঞতানামা ৬৮ জনকে অজ্ঞতানামা আসামী ক‌রে মামলা ক‌রে। ও‌সি ব‌লেন মাহমুদুল ইসলাম সম‌র্থিত কোন নেতাকর্মীকে আটকও করিনি। তিনি (মাহমুদুল ইসলাম) যেসব অভিযোগ করেছেন, তা মিথ্যা।মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, অনুমতি নিয়ে শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বাঁশখালীর উত্তর চাম্বলের সিকদার দোকান এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা করতে গেলে, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হকের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ২৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর বিকেলে জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় আবারও গুলিবর্ষণ করে। এসময়ও অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়।
তিনি বলেন, ওইদিন সন্ধ্যায় বাড়িতে গেলে বাড়ি ঘেরাও করে প্রকাশ্যে গুলি করে সরকারদলীয় সমর্থকরা। পরে মামলা করতে গেলে বাঁশখালী থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে থানা থেকে বের করে দেয়। আমাকে সমর্থন করার কারণে পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে ৩০ থেকে ৪০জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কালীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নেজাম উদ্দিন চৌধুরী, বাঁশখালী উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, মোরশেদুল আলম, উসমান খান প্রমুখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ