বাঁশখালী বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী

মোহাম্মদ এরশাদঃ

বাঁশখালী সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করেন  জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।


গত বৃহস্পতিবার  (১৮ অক্টোবর)  রাতে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাঁশখালী পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন । পূজা মন্ডপ পরিদর্শন এবং ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি মন্ডপে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন। এসময় তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

পরিদর্শনকালে বাঁশখালী থানা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন ও পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মানবধিকার চট্রগ্রাম দক্ষিন জেলার সভাপতি শিল্পপতি বাবু অজিত কুমার দাশ,জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা লিটন গুহ,সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান চৌধুরী,প্রবীণ চিকিৎসক ডাঃ পিসি পাল,বাঁশখালী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান,
এডভোকেট ফিরোজ,কে এম আবদুল মান্নান, ,মাহবুব আলম,আনোয়ার হোসেন,মৌলনা ফরিদ, জসিম সিকদার,ইউপি সদস্য মোঃ বাদশা, অধ্যাপক জাহেদুল ইসলাম,নীল কমল সুশীল, ইউ পি সদস্য আবদুল খালেক,আনচার,দোলন দে  প্রমুখ সহ  বিপুল নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য এ বছর বাঁশখালী উপজেলার ৮৩টি সার্বজনীন পূজা মন্ডপ ও ১০৩ ঘট পূজা সহ মোট ১৮৬ টি পূজা মন্ডপে প্রতিমা স্থাপন করা হয়। তৎমধ্যে বাঁশখালীর পুকুরিয়ায় ৭টি, সাধনপুরে ১৪টি, বাহারছড়ায় ৪টি, কালীপুরে ১৩টি, বৈলছড়িতে ৬টি, কাথরিয়ায় ১টি, চাম্বলে ১১টি, শেখেরখীলে ১টি, সরলে ৪টি, পৌরসভায় ১৬টি, শীলকূপে ৪টি ও পুঁইছড়িতে ২টি মন্দিরে সার্বজনীন দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

এ সময় সংক্ষিপ্ত ব্যক্তব্যে সাবেক সিটি  মেয়র আলহাজ্ব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী 
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ন রেখে জাতীয় উন্নয়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে অবদান রাখার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করে বলেন,প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা -ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও নানা অনুষ্ঠান-উপাচারের মধ্য দিয়ে সাড়ম্বরে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি দুর্গোৎসব আমাদের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস। শারদীয় দুর্গোৎসব সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধনকে আরো সুসংহত করুক, সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক- এটাই আমি প্রত্যাশা করি’’।

"ধর্ম হচ্ছে যার যার-উৎসব সবার"। এই  সরকারের অামলে দেশের সনাতন ধর্মালম্বীরা সবছেয়ে বেশি নিরাপদে থেকে ধর্মিয় উৎসব পালন করতে পারে, তাই সকল ধর্মের মানুষরা যাতে নির্বিঘ্নে সহবস্থান পুর্বক ধর্মিয় অাচার অনুষ্ঠান পালন করতে পারে সেজন্য অাগামীতেও আবারো মহাজোট সরকার কে পুনরাই নির্বাচিত করতে হবে।তিনি আরো বলেন,আমি ১৯৭৯, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে এমপি ও সিটি মেয়র থাকা কালে বাঁঁশখালী অধিকাংশ উন্নয়ন  করেছে বলে জানান।শিক্ষার উন্নয়নে এলাকায় মহিলা কলেজ,মসজিদ-মাদ্রাসা ও টেকনিক্যাল,প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ সমপন্ন করেছি। দীর্ঘ দিন যাবৎ বাঁঁশখালীর তেমন কোন উন্নয়ন না হওয়ায় বাঁঁশখালী মানুষ এখন আমাকে চাই।এবার যদি আমি এমপি হই জনগণের জন্য কাজ করব।’শেষ বয়সে হলে ও জনগনের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করব।

এ সময় তিনি পূজারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন বাঁশখালীতে কোন সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই। তিনি বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মাঝে পূজা পরিচালনার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ