অনিয়মের প্রতিবাদ করায় সহকারী শিক্ষককে হিন্দু মালাউন বলে গালি গালাজ

মোঃ সাদকিউর রহমান শাহ্ (স্কলার)ঃ 
সরকারী নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে একের পর এক অন্যায় দূর্নীতি ও স্বজন প্রীতির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে পঞ্চপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। নীলফামারী পঞ্চপুকুর ইউনিয়নে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে ১৯৯৩ সালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের সমন্নয়ে নুরুল আমিন সরকার পঞ্চপুকুর বালিকা বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। স্কুলটি যথেষ্ঠ সু-নাম কুড়ালেও প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেনের স্বেচ্ছাচারিতা,বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমার দালালি ও ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দৌড় ঝাপ এর কারণে স্কুলটি সু-নাম হারাচ্ছে বলে এলাকাবাসী দাবি তুলেছে। অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা যায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ২ যুগে বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে স্কুলটি বন্ধের অপচেষ্ঠা চালিয়ে আসছে একটি বিশেষ মহল। সম্প্রতি বে-আইনি ও সরকারী বিধিমালকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গোপনে আবার ও ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে স্কুলটির সু-নাম ও মর্যাদা ক্ষুন্ন করার অপচেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছে প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন। একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব যথা যথ ভাবে পালন না করে ম্যানেজিং কমিটি তার পকেটস্থ করার জন্য গোপনে কমিটি তৈরী করে। সহকারী শিক্ষক বাবুল সিংহ রায় এর প্রতিবাদ করলে তাকে হিন্দু মালাউন বলে গালা গালি করে প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন ভূইয়ার কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন সহকারী শিক্ষক বাবুল সিংহ রায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে জানান। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর বিদ্যালয়ের সকল কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করে আইন উপদেষ্টার মতামতে ২৪/১১/১৫ তারিখে ২/এস/৯০৫/১৫৯২(৮) নং স্বারকে রুহুল আমিন সরকারকে পঞ্চপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে ১০/০৯/১৫ইং তারিখে মাউশিবোদি/বিদ্যা/অনু ২০১৫/৯৯১(৬) নং স্বারকের ম্যানেজিং কমিটিতে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসাবে মনোয়ন প্রদান করলেও সরকারী নিয়ম নীতিকে উপক্ষো করে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি তৈরী করে স্কুলটির পকেটস্থ কমিটি তৈরি করায় ফুসে উঠেছে অভিভাবক ও সুধি সমাজ। পঞ্চপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, একজন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব স্কুলটি সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করা ও ছাত্রীদের ভালো রেজাল্ট করানো কিন্তু এই প্রধান শিক্ষক তা না করে ম্যানেজিং কমিটি দালালি করে সময় নষ্ট করছেন। অভিভাবক মোঃ নুর আলম সরকার বলেন, প্রধান শিক্ষক যা করে বেড়াচ্ছেন তা মেনে নেয়া যায় না। অভিভাবক মোঃ ওয়াজেদ আলী বলেন, প্রধান শিক্ষককের স্বৈরাচারী মনভাব স্কুলটির সম্মান ক্ষুন্ন করছে। সহকারী শিক্ষক বাবুল সিংহ বলেন, প্রধান শিক্ষকের এসব নোংরামির প্রতিবাদ করায় আমাকে হিন্দু মালাউন বলে গালাগাল ও বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন। এর আগেও বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবাদ করায় কয়েক জন শিক্ষকের বেতন বিল বন্ধ করে হয়রানি করেন। এ বিষয় নীলফামারী সংসদ সদস্য-২ সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর এমপিকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বাবুল সিংহ রায়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন আমার কাছে লিখিত অভিযোগ আছে আমি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ