বি এন আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাজ্যের ভিসা আবেদনকারীদের জন্য বার্ষিক চিকিৎসা ফি (ইমিগ্রেশন হেলথ সারচার্জ) দ্বিগুণ করার প্রস্তাব উঠেছে। দেশটির সরকার এই প্রস্তাব তুলেছে।নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভিসায় আবেদনকারীদের বার্ষিক চিকিৎসা ফি হবে ৩০০ পাউন্ড (প্রায় ৩৫ হাজার টাকা)। আর অন্য সব ভিসা আবেদনকারীর জন্য (ওয়ার্ক পারমিট, স্পাউস, বিজনেস ইত্যাদি) জন্য বছরে চিকিৎসা ফি হবে ৪০০ পাউন্ড (প্রায় ৪৫ হাজার টাকা)।সম্প্রতি এই প্রস্তাব দেশটির পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হয়েছে। সংসদের অনুমোদন সাপেক্ষে আসছে ডিসেম্বর থেকে বর্ধিত ফি কার্যকর হবে।এত দিন শিক্ষার্থী ভিসায় আবেদনকারীদের জন্য চিকিৎসা ফি ছিল বছরে ১৫০ পাউন্ড (প্রায় ১৮ হাজার টাকা)। আর কর্ম ভিসাসহ (ওয়ার্ক পারমিট ভিসা) অন্য সব ভিসার ক্ষেত্রে বছরে ফি ছিল ২০০ পাউন্ড (প্রায় ২৩ হাজার টাকা)। ছয় মাসের বেশি সময়ের জন্য যাঁরা ভিসা আবেদন করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এ ফি প্রযোজ্য।
যুক্তরাজ্যের ভিসা আবেদনকারীদের জন্য বার্ষিক চিকিৎসা ফি (ইমিগ্রেশন হেলথ সারচার্জ) দ্বিগুণ করার প্রস্তাব উঠেছে। দেশটির সরকার এই প্রস্তাব তুলেছে।নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভিসায় আবেদনকারীদের বার্ষিক চিকিৎসা ফি হবে ৩০০ পাউন্ড (প্রায় ৩৫ হাজার টাকা)। আর অন্য সব ভিসা আবেদনকারীর জন্য (ওয়ার্ক পারমিট, স্পাউস, বিজনেস ইত্যাদি) জন্য বছরে চিকিৎসা ফি হবে ৪০০ পাউন্ড (প্রায় ৪৫ হাজার টাকা)।সম্প্রতি এই প্রস্তাব দেশটির পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হয়েছে। সংসদের অনুমোদন সাপেক্ষে আসছে ডিসেম্বর থেকে বর্ধিত ফি কার্যকর হবে।এত দিন শিক্ষার্থী ভিসায় আবেদনকারীদের জন্য চিকিৎসা ফি ছিল বছরে ১৫০ পাউন্ড (প্রায় ১৮ হাজার টাকা)। আর কর্ম ভিসাসহ (ওয়ার্ক পারমিট ভিসা) অন্য সব ভিসার ক্ষেত্রে বছরে ফি ছিল ২০০ পাউন্ড (প্রায় ২৩ হাজার টাকা)। ছয় মাসের বেশি সময়ের জন্য যাঁরা ভিসা আবেদন করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এ ফি প্রযোজ্য।
আগে একজন শিক্ষার্থীকে তিন বছরের কোর্সের জন্য যুক্তরাজ্যে এলে চিকিৎসা ফি দিতে হতো ৪৫০ পাউন্ড (বছরে ১৫০ পাউন্ড করে)। নতুন ফি কার্যকর হলে তিন বছরের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে দিতে হবে ৯০০ পাউন্ড (বছরে ৩০০ পাউন্ড করে)। একইভাবে অন্য ভিসার আবেদনকারীদের বর্তমান নিয়মে তিন বছরের জন্য ৬০০ পাউন্ড দিতে হয় (বছরে ২০০ পাউন্ড করে)। নতুন নিয়মে দিতে হবে ১ হাজার ২০০ পাউন্ড (বছরে ৪০০ পাউন্ড করে)।
কর্মক্ষম বাসিন্দারা আয়কর দেবেন। সেই করের একটি অংশ দিয়ে পরিচালিত হবে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা। আর দেশের সবার প্রয়োজনের সময়ে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। চিকিৎসার মানও হবে সবার জন্য সমান। এটাই যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার নীতি।
শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ নানা কাজে যুক্তরাজ্যে আসা ভিনদেশিরাও বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালে ব্রিটিশ ভিসা আবেদনকারীদের জন্য চিকিৎসা ফি (ইমিগ্রেশন হেলথ সারচার্জ) চালু করা হয়।
ভিসা আবেদনের সঙ্গেই এই চিকিৎসা ফি অগ্রিম জমা দিতে হয়। অবশ্য ভিসা না হলে চিকিৎসা ফি ফেরত দেওয়ার নিয়ম আছে। ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও সমান হারে চিকিৎসা ফি প্রযোজ্য।
যুক্তরাজ্যের অভিবাসন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ক্যারোলাইন নোকস বলেন, ‘আমাদের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বা এনএইচএস) ব্রিটিশ করদাতাদের অর্থে পরিচালিত। দীর্ঘ মেয়াদে অবস্থানের জন্য আসা অভিবাসীদের এই সেবা গ্রহণে স্বাগত। তবে এ সেবায় তাদের যৌক্তিক অবদান (কন্ট্রিবিউশন) থাকা জরুরি।’ সরকারি সমীক্ষার বরাত দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভিবাসীদের চিকিৎসা বাবদ এনএইচএস-এর বছরে গড়ে ৪৭০ পাউন্ড ব্যয় হয়। তিনি জানান, ২০১৫ সাল থেকে চিকিৎসা ফি বাবদ সরকার ৬০০ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করেছে। এই অর্থ স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয় করা হয়েছে। বর্ধিত ফি চালু হলে সরকার স্বাস্থ্য খাতে বছরে আরও ২২০ মিলিয়ন পাউন্ড তহবিল জোগানে সক্ষম হবে।
সুত্রঃ প্রথম আলো।
0 মন্তব্যসমূহ