মুচলেকায় ছাড়া পেলেন অধ্যাপক রেহনুমা

বিএন ডেস্কঃ
আটকের পর মুচলেকায় ছাড়া পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকি বিল্লাহ। এর আগে মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ থেকে তাদের আটক করা হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা, গ্রেফতার-নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘উদ্বিগ্ন এই অভিভাবক ও নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে। সেখান থেকে তাদের আটক করা হয়।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা একত্রিত হলে তাদেরকে জমায়েত হতে বাধা দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে অভিভাবক ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এ সময় বাকী বিল্লাহকে আটক করে পুলিশ।
এসময় সেখানে উপস্থিত অভিভাবকরা বাকী বিল্লাহকে আটকের প্রতিবাদ করে তাদের সাবাইকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার দাবী জানান।
সে সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ গাড়িতে উঠে গেলে বাকি বিল্লাহ এবং অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ নিয়ে চলে যায় পুলিশ।
পরে আটকের ৪০ মিনিট পর শাহবাগ থানায় নিয়ে মুচলেকা নিয়ে তাদের দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ সাংবাদিকদের জানান।
পুলিশ সদস্যরা কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে আসা অভিভাবক, শিক্ষক ও রাজনৈতিক নেতাদের লাঞ্ছনা করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আয়োজক সংগঠনের নেতারা।
সমাবেশে আসা অভিভাবকরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের ওপর সশস্ত্র হামলা, গ্রেপ্তার-নির্যাতন ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিকদের প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। প্রেসক্লাবের সামনে অভিভাবকেরা জড়ো হতে থাকলে তাঁদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় শাহবাগ থানার পুলিশ।
এ সময় সেখানে উপস্থিত হন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক। সেখানে উপস্থিত অভিভাবক ও বিভিন্ন পেশাজীবীকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। ধস্তাধস্তিতে হেনস্তার শিকার হন অধ্যাপক ফাহমিদুল হক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষক ও ছাত্রনেতাকে আটকের পরপরই ধস্তাধস্তির সময় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকি বিল্লাহ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদকে পুলিশের ভ্যানে করে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘কোটা সংস্কারের যে যৌক্তিক আন্দোলনে, তাতে সরকারের ছাত্রসংগঠন ভয়াবহ হামলা করেছে। ছাত্রীদের ওপরে হামলা করা হয়েছে, বহু ছাত্রছাত্রী মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে হাসপাতালে। এসব কিছু দেখে নাগরিকেরা উদ্বিগ্ন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা অভিভাবকেরা একটা উদ্বেগ প্রকাশ করতে এসেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু না। আমরা তো জানি না ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কার্যত ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।’

হামলার অভিযোগ অস্বিকার ছাত্রলীগের
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরাই একে অন্যের উপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ। তাদের দাবী ছাত্রলীগ নয়, আন্দোলনকারীদের দুটি গ্রুপের মধ্যেই সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গত দুইদিন ধরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলার পর আজ মঙ্গলবার এক মানববন্ধনে ছাত্রলীগ নেতারা এসব কথা বলেন। এসময় সাংবাদিকদের দেখে মানবন্ধনের সামনে থেকে সরে গিয়ে পিছনে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে 'গুজব ছড়াবেন না' শিরোনামে এ মানবন্ধন করে তারা। গত শনি ও রোববারে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে এসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
গত শনি ও রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় মারধরের শিকার হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। দুইদিনে ছাত্রলীগের হামলায় ২৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এসময় অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দিদার মোহাম্মাদ নিজামুল ইসলাম, ছাত্র বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ সাগর আহম্মেদ, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক রানা হামিদ, সহ-সম্পাদক জাহিদ হাসান জয়, সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের বর্ধিত কমিটির সদস্য শেখ আব্দুল্লাহসহ কেন্দ্রীয়, ঢাবি ও হলশাখার নেতাকর্মীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলায় জড়িত ছিলেন।
মানববন্ধনে সাংবাদিকরা আসলে সামনের সারির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা মানববন্ধন ছেড়ে পেছনে গিয়ে দাঁড়ান।
পরে মানববন্ধনে উপস্থিতি ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতারা বলেন, কোটা সংস্কার নামে একদল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। তাদের দুইটি গ্রুপ এ হামলায় জড়িত। এখানে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নেই।
গত দুইদিন কোটা সংস্কার আন্দোলনারীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগের বিষয়টি জানতে চেয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে গুজব ছড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছিল। পরবর্তীতে তাদের এই মতলব সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে। তাই শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা আন্দোলনকারীদের দুইটি গ্রুপের মধ্যে।
কোন দুইটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে তা জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে সৈকত বলেন, ‘রাশেদ-নূরের দুইটি গ্রুপ।’
ছাত্রলীগ কোন গ্রুপে ছিল জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি। মানববন্ধনের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে মানববন্ধনকারীরা বলেন, ক্যাম্পাসে কেউ কোন ধরণের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে আসলে তা প্রতিহত করা হবে।

গ্রেফতার
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ‘নিখোঁজ’ ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডিএমপি পুলিশের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একটি মোটরসাইকেল পোড়ানোর মামলায় ফারুককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাকে আজ মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। ফারুক কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে গঠিত সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক।
এর আগে ফারুক 'নিখোঁজ' বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। ফারুক হোসেনের বড় ভাই আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘ফারুককে কাল মারধরের পর শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ থানায় নেয়া হয়েছিল বলে তথ্য পেয়েছি। বিভিন্ন ফুটেজে দেখেছি ফারুককে মোটরসাইকেলে করে থানায় নেয়া হয়েছে। এরপর থেকে ফারুক নিখোঁজ। ফারুকের সন্ধান চেয়ে থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের দফতরে খোঁজ করেও পাইনি’।
তিনি বলেন, ‘আমি সবার কাছেই গেছি। ডিএমপির শাহবাগ, রমনা ও নিউমার্কেট থানায় গিয়েছি। ডিবি অফিসেও গিয়েছি। কিন্তু কেউ তাকে ধরেনি বলে জানিয়েছে।’
এর আগে গতকাল সোমবার কোটা সংস্কারের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ চলার সময় ফারুককে তুলে শাহবাগ থানায় দিয়ে আসেন ছাত্রলীগের এক কর্মী। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হতে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালান। তাঁদের কিল, ঘুষি, লাথি মেরে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেনকে মোটরসাইকেলে করে তুলে শাহবাগ থানায় নিয়ে যান ছাত্রলীগের এক কর্মী।

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার চেয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলার বিচার চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থী’দের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দে নইলে পদ ছেড়ে দে’, ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাস থেকে শিক্ষা বাচাঁও,’ ‘আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার বিচার চাই’, ‘আন্দোলনের সাথে প্রহসন বন্ধ কর, যৌক্তিক সংস্কার কর’ ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও ফেন্টুর ব্যবহান করেন।
মানববন্ধনে উম্মে হাবিবা বেনজির নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ক্যাম্পাস খুলতে না খুলতেই গত দুইদিন ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রক্টর স্যার গত শনিবারের ঘটনায় বলেছেন, ক্যাম্পাস ছুটি ছিল, তিনি কিছু জানতেন না। তার কাছে কোনো অভিযোগ যায়নি। অথচ প্রক্টরের দায়িত্ব ক্যাম্পাসে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ক্যাম্পাস ছুটি কিনা এ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তিনি দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদত্যাগ করুক।’
সালমান ফারসি নামের আরও এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত ১০ বছরে ছাত্রলীগের কেউ আহত হয়নি। তারা অন্যদের মারধর করে আহত করছেন। এতে তাদের কোনো বিচারও করে না প্রশাসন।’
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার সংকট দেখা দিয়েছে। ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের উচিত তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া। প্রক্টর সার বলেছেন, কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেবে। অথচ এদিকে গতকালকে হামলায় অনেকেই গুরুত্বর আহত হয়েছেন। কাউকে গুম করা হয়েছে। কারা অভিযোগ করবে। এগুলো প্রশাসন দেখে না?’
গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ করতে জড়ো হলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের বেশ কিছু কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। তবে হামলা বা মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান সানি।
এদিকে কোটা সংস্কারের এ আন্দোলনের মধ্যে গতকাল সোমবার কোটা ব্যবস্থা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করা হয়েছে। আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কমিটি গঠন
বাসস জানায়, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার। এই কমিটি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন পেশ করবে।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোটা পর্যালোচনা সংক্রান্ত এই কমিটি বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার, বাতিলের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে সুপারিশসহ সরকারের কাছে প্রতিবেদন পেশ করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব। কমিটি প্রয়োজনে যে কোন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিকে সদস্য হিসেবে কো-অপ্ট করতে পারবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি) এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ