পরিশ্রমের অনন্য উদাহরণ সিআইপি ইসমাইল


আব্দুল আলীম নোবেলঃ কথায় আছে ভাগ্য এক ভাগ, ৯৯ পারসেন তার কঠোর পরিশ্রম। কঠোর পরিশ্রম পৌছে দিয়েছে যে মানুষটিকে এক অনন্য উচ্চতায়। যেটি সে কোন দিন দ্বিবাস্বপ্নও দেখেনি। আমরা বলতে পারি তিনি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের মান উচুঁ করার পাশাপাশি কক্সবাজারবাসীকেও সাম্মানিত করেছেন তিনি বার বার সেরা রেমিটেন্স দাতা হিসেবে। দেশের সীমান্ত পারের নোনাজলে বেড়ে ওঠা, এই জনপদের মৃত্তিকার সন্তান মো: ঈসমাইল। অপাদমস্তক পরিশ্রমি,কর্মঠ। এখনও টকবগে তরুণ সদাহাস্য উজ্বল, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান সে দিনের ঈসমাইল এখন তার পরিচয় সিআইপি ঈসমাইল। পৃথিবীর এক কোটি ৭০ লাখ প্রবাসী বাঙ্গালীকে পেছনে ফেলে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে তিন নাম্বারে দখল রেখেছে পরিশ্রমি এই মানুষটি। মাত্র দুই যুগ আগেও অতিসাধরণভাবে ভাগ্য বদলের আশায় পড়ি দিয়েছিল মধ্যপাচ্য মরুর দেশে। আজ তিনি সৎতা আর নিষ্ঠা কঠোর পরিশ্রমের ফলে আজকে তাকে পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। তিনিও একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকবেলায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে দারুণ ভূমিকা রেখেছে। এমনই পৃথিবীর অন্য প্রবাসী বাঙ্গালীরাও বৈধ পথে দেশে টাকা পাটিয়ে দেশকে আরো উন্নত শিখরে পৌছে দেওয়া সম্ভব। তার একটি উদাহরণ আজকের সিআইপি ঈসমাইল।     


মো. ইসমাইল একজন সফল ব্যবসায়ি। এর পাশাপাশি রাজনীতি করতে পছন্দ করেন তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ঐতিহ্যবাহি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, বাংলাদেশ কমিউনিটির সিনিয়ার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আওয়ামী লীগের সর্ব সিনিয়ার নেতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসমাইল, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সিআইপি নির্বাচিত হন। বিদেশে গিয়ে পরিশ্রম করে আয় করা অর্থ বৈধভাবে বাংলাদেশে পাঠিয়ে এ মর্যাদা তিনি পেয়েছেন । দলীয় হাই কমান্ডের সবার সাথে তার রয়েছে ভালো যোগাযোগ এবং সুসম্পর্ক। কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সদস্য পরিচ্ছন্ন আওয়ামীলীগ নেতা সোনা আলীর ছোট ভাই মো: ঈসমাইল। সোনা আলী গতবার টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নৌকা র্মাকা নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছিল। মাত্র কিছু ভোটের জন্য কালো টাকার প্রার্থীর কাছে হেরেগেছেন তিনি। সোনা আলীও একসময় প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন, সে সময় আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনাকে স্বর্ণের নৌকা উপহার দিয়ে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল তিনি। সারা জীবন মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন লালন করা এই পরিবারটির মাঝে এই সফলতায় তারাও বেজায় খুশি এমনটি মনে করছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।  


এর আগেও ভাগ্য বদলের আশায় মো ঈসমাইল বিদেশে পাড়িজমালেও তেমন কোন সফলতার মুখ দেখেনি পরে তিনি ২০০৪ সালে দিকে আবার পাড়ি দেয় প্রবাসে তবে এবারের গন্তব্য ছিল দুবাই। ২০০৮ সালে নিজেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসে বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার যুবক মোহাম্মদ ইসমাইল। প্রবাসী ইসমাইল নিজের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন দশ-দশটি আবাইয়া /লেডিস গাউন ড্রেস এর দোকান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের বিখ্যাত আবাইয়া মার্কেট নামে পরিচিত আবু হাইল সেন্টারে তার শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে গত ১৫/১৬ বছর ধরে। গত ২০১৪ সালের দিকে দেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলো সহ প্রবাসী সফল ব্যবসায়ী হিসেবে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচারও হয়েছিল। 
 দেশপ্রেম আর পারিবারিক সুত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুসারী পরিবারে জন্ম নেয়া যুবক মো. ইসমাইল, দুবাই গিয়ে শুধু ব্যবসা নিয়েই আটকে থাকেনি। নিজেকে জড়িয়েছেন রাজনীতিসহ নানাবিধ ভালো কর্মকান্ডের সাথে, উদ্দেশ্য দেশের জন্য ভালো কিছু করে বিদেশের মাটিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। মোহাম্মদ ইসমাইল শুধু প্রবাসেই নিজের প্ররিশ্রম দিয়ে থেমে থাকেননি বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারেও রয়েছে তার মালিকানাধীন বিভিন্ন ব্যবসা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, এখানেও তার অধীনে কাজ করছে কয়েক শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী। রয়েছে বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান।  
মোহাম্মদ ইসমাইল গত ১৫/১৬ বছর ধরেই বাংলাদেশ সরকারকে সর্বাধিক রেমিট্যান্স দিয়ে দেশের উন্নয়নের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। ইতোপূর্বে চারবার সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স দাতা হিসেবে সরকারী ভাবে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি এবং সম্মাননাও পেয়েছেন। অত্যন্ত ভদ্র সদালাপী এবং বন্ধুসুলব মোহাম্মদ ইসমাইল শতভাগ সততা নিয়ে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সরকারের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার ২০১৬ সালের জন্য ‘বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনাবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে ২৯ জন এবং বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনাবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে ছয়জনসহ মোট ৩৫ জন অনাবাসী বাংলাদেশিকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সিআইপি হিসাবে নির্বাচিত করেন। এদের মধ্যে ৩ নাম্বার আছেন মো. ইসমাইল। ৫ জুন রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে তাকে সম্মাননা দেয় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ২০১৬ সালের নির্বাচিত সিআইপিদের মধ্যে বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনাবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে যে ৩৫ জনকে সিআইপি কার্ড দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে মোহাম্মদ ইসমাইলও রয়েছেন। (এদিকে টেকনাফের সফল সন্তান হিসেবে টেকনাফের ইয়াবা কোটিপতিরা তারা কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন কিভাবে হালাল উপার্জন করে নিজেকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে একজন সাধারণ মানুষ। ইয়াবা কোটিপতিদের বলছি সৎ উপার্জন করে কিভাবে কোটিপতি হওয়া যায়, শিক্ষা নেওয়ার জন্য তোদের কাছে একজন ইসমাইলই যতেষ্ট।)   

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ