টাকায় ভোট জনবিছিন্ন ঠিকাদার মার্কা জনপ্রতিনিধিকে না বলুন!


আব্দুল আলীম নোবেলঃ গনতান্ত্রিক দেশে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া কোন জনপদের সমৃদ্ধ উন্নয়ন মোটেও কল্পনা করা যায় না। আর সেটি যদি হয় সৎ নিষ্ঠা দেশপ্রেমিক প্রভাবশালী জনদরদী এক কথায় ডাইনামিক, তহালেতো আমরা একটি বদলে যাওয়া কক্সবাজার পৌর শহরকে দেখতে পাবো শীঘ্রই। তার ব্যার্থয় ঘটলে মনে রাখবেন আমারদের কপালে দূঃখ আছে। কাকে নেতা বানাবেন আর বানাবেন না, ব্যালেট কিন্তু এখনও আপনার হাতে। কার হাতে দায়িত্ব দিলে এই এই শহরের উন্নয়ন হবে নতুন করে সিন্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে আবার। আগামী ২৫জুলাই কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন। কারণ কক্সবাজার পৌরসভার জন্ম ১৮৬৯ সাল, সেই যাত্রার ১৪৮ বছর পার হলেও আশানুরূপ পরির্বতন দেখেনি। সেই হিসাবে যেখানে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ার কথা সেই তুলনায় বলতে গেলে এই শহরে কিছুই হয়নি। সাধারণ মানুষের ম্যান্ডেড নিয়ে পরিবর্তনের ন্বপ্ন দেখিয়ে কত রতিমহারতি চলে গেছে। রেখে গেছে একটি অপরিছন্ন, অনিরাপদ,গিঞ্জি,অপরিকল্পিত অনুউন্নত একটি পৌরশহর। বর্তমানে যে পরিস্থিতি, পরিবেশ প্রতিবেশের কথা বাদেই দিলাম, কক্সবাজার পৌরসভার অবকাঠামোগত উন্নয়নের যে যাত্রা আগামী প্রজন্মের বসবাসের জন্য হয়ে ওঠবে একটি বিষফোঁড়া। মাত্র ৩২.৯০ কিমিলোমিটার আয়তনের কক্সবাজার পৌসভার ২০০১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী কক্সবাজারের জনসংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭৭ জন বলা হলেও বর্তমানে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি জনসংখ্যার বসবাস এই শহরে। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ আপডেট মতে ভোটার প্রায় ৮৪ হাজার। ঢাকা চট্টগ্রামের পরে নানা দিক দিয়ে কক্সবাজারের অবস্থান। সৃষ্টিকর্তার অপারমহিমায় প্রকৃতিক এবং ভৌগলিক কারণে নিঃন্দেহে একটি সমৃদ্ধ জনপদ এইটি। পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার পিরিচিতির ক্ষেত্রে দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশের মাটিতেও প্রতিনিয়ত কড়ানাড়ছে। পর্যটন খ্যাতসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের অযুত সম্ভবনার এইজনপদের মূলকেন্দ্র হচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভা। সেই পৌরসভার পৌরপিতা কেমন হওয়া চাই, নির্বাচিত করবেন এই এলাকার মানুষ। কক্সবাজার কে বদলে দিতে আগামীর নির্বাচনে একজন ডাইনামিক পৌরপিতা চাই, আজকের পদক্ষেপ আগামীর পরিকল্পিত কক্সবাজার, এই শ্লোগান ধারণ করা, একঝাক তরুণদের সামনে চলার সামাজিক সংগঠন পরিকল্পিত কক্সবাজার আন্দোলনও। 
কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠে মানতে দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার পর্যটন শহরের নির্বাচনী হাওয়াও বয়তে শুরু করেছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে নতুন পুরাতন মিলে একাধিক মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলরসহ শতাধিক প্রার্থী মাঠে নামার গুজন। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাগেছে এইবারে মাঠে দেখা মিলবে পরিচ্ছন্ন,তরুণও তরুণী, শিক্ষিত নারী-পুরুষ প্রার্থীদের। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার প্রচরানায় প্রতিয়মান হচ্ছে। পরিকল্পিত কক্সবাজার আন্দোলনও চাই যোগ্য পৌরপিতা নির্বাচিত হোক। যাতে কক্সবাজার পৌরসভার টেকসয় সমৃদ্ধ উন্নয়ন হয়। সবকথার শেষ কথা, জনবিছিন্ন, ঠিকাদার মার্কা জনপ্রতিনিধি ও কালো টাকায় ভোট কেনা প্রার্থীকে না বলুন। 
লেখক- সমন্বয়ক, পরিকল্পিত কক্সবাজার আন্দোলন!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ