বাঁশখালীর কালীপুরের লিচুর সুনাম সারাদেশে



বিএন ডেস্কঃ সারাদেশে সুনাম রয়েছে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুরের লিচুর।
এখানকার লিচু স্বাদে ও পুষ্টি গুণে উৎকৃষ্ট হওয়ায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এসে কালীপুরের লিচু পাইকারী দামে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে বিক্রির উদ্দেশ্যে। শুরু থেকেই লিচুর চড়া দাম লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার কালীপুর, পুকুরিয়া, সাধনপুর, বৈলছড়ি, জলদী, শীলকূপ, চাম্বল ও পুঁইছড়ি এলাকার পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে সুস্বাদু লিচু উৎপাদিত হয়।
এছাড়াও বাঁশখালীর প্রতিটি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় লিচুর চাষ হয়ে আসছে বহুকাল থেকেই। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, বাঁশখালীতে প্রায় সাড়ে ৫শ হেক্টর জায়গা জুড়ে লিচু চাষ হয়ে থাকে। স্থানীয় উন্নত প্রজাতির এই লিচু উৎপাদনে চাষীরা বেশ গুরুত্ব সহকারে উৎপাদন কাজে শ্রম ব্যয় করায় বাণিজ্যিক ও ঘরোয়াভাবে উৎপাদিত এই লিচুর কদর দেশ জুড়েই। বর্তমানে বাঁশখালীর সর্বত্র আগাম লিচু বাজারে আসায় চাষীরা চড়া দামে বিক্রি করছে তা।
লিচুর উৎপাদনের শুরুতেই বৃষ্টি কম হওয়ায় চাষীরা অনেকটা হতাশ ছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে এসে বৃষ্টির দেখা মেলায় চাষীরা অনেকটা আশান্বিত হলেও প্রবল বাতাসে ও ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতে লিচু গাছের ক্ষতি হতে পারে এই আশংকা রয়েছে চাষীরা। বাজারে আগাম লিচু বাগান ও লিচুর আকার ভেদে প্রতি শত লিচু বিক্রি ৩-৪শ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে পুরোদমে লিচু উৎপাদন শুরু হওয়ায় দাম অনেকটা কমে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাজারে প্রথম দিকে দাম বেশি থাকলেও ধীরে ধীরে ২শ থেকে আড়াইশ টাকায় কমে আসতেছে। সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলার সর্বত্র বাঁশখালীর কালীপুরের লিচুর আলাদা কদর রয়েছে।
এবার লিচু উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে জানান কালিপুরের লিচু চাষী জালাল উদ্দীন। বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, বাঁশখালীতে ৫শ থেকে সাড়ে ৫শ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। এবারে ফলন বেশি হওয়ায় লিচু চাষীরা খুশি বলেও জানান তিনি।
তাছাড়া কৃষি অফিস থেকে যথাযথ সহযোগিতা দেয়া হয়েছে লিচু চাষীদের। ব্রিটিশ আমল থেকেই বাঁশখালীর উপজেলার কালীপুরে বোম্বাই, কোলকাতা, চায়না-থ্রি জাতের লিচু চারা কলম সংগ্রহ করে বাগান করে আসছেন স্থানীয়রা। পরে তা জলদি, পুকুরিয়া, সাধনপুর, চাম্বল, নাপোড়া, শীলকূপ ও পুঁইছড়িতেও বিস্তৃতি লাভ করে। ভালো ফলন হওয়ায় একেকটি বাগান এক থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে।
বাঁশখালীর কালীপুর, জলদী, সাধনপুর ও চাম্বলে তিন চারটি এলাকায় লিচুর পাইকারী বাজার বসে। পাইকারদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন যায়গায় পৌঁছে যায় বাঁশখালীর এ লিচু। পুষ্টিগত মান ও স্বাদের কারণে বাঁশখালীর লিচুর এমন কদর বেশি। কালীপুর এলাকার লিচু চাষী মনির আহমদ জানান, এখানকার লিচু কোন ধরনের ফরমালিন এবং বেজালমুক্ত হওয়ায় সব ধরনের ক্রেতাদের এই এলাকার লিচুর চাহিদা বেশী। বাঁশখালীর সুস্বাদু লিচু কিনতে সব এলাকার ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
/এসএনএন২৪

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ