বিএন ডেস্কঃ
ফেনীর তাকিয়া রোডের হলুদ মরিচ গুড়ার কারখানার জ্বালায় অস্থির এলাকাবাসী।
কারখানার হলুদ মরিচের গুড়া বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত
হচ্ছে মানুষ। এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেছে এটি নিয়ে। কারখানা সংলগ্ন
স্থানে মাস্ক ছাড়া হাঁটা যায় না। বুধবারের পর আজ বৃহস্পতিবারেও ফেনীর
ইসলামপুর রোডের আবুবক্কর সিদ্দিক সড়কের এসব ক্রাসিং কারখানাগুলোতে অভিযান
পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন, ফেনী। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।
এ সময় মোট ১০ টি কারখানার প্রতিটির মালিককে ২০ হাজার টাকা করে মোট ২
দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। দণ্ডিতরা হলেন, ১. ফরিদ মিলস এর
সহিদুল ইসলাম (শাহীন) ২. ইসমাইল মিলস এর মো: ইসমাইল, ৩. বৈশাখী মিলস এর
রবিন্দ্র দেবনাথ ৪. আলাউদ্দিন ট্রেডার্স এর আলাউদ্দিন ৫. আইয়ুব আলী
ট্রেডার্স এর আইয়ুব আলী ৬. ভূঁইয়া মসলা মিলস এর আবুল কালাম আজাদ ৭. নারায়ন
মিলস এর নারায়ন বণিক ৮. এরশাদ মিলস এর এরশাদ উল্যা ৯. তৈয়ব মিলস এর আবু
তৈয়ব ১০. মেসার্স আবুল হোসেন মিলস এর আবুল হোসেন।
এ ছাড়াও আব্দুল কুদ্দুস মিলস ও জহির উদ্দিন ক্রাশিং মিল নামে দুটি মিল
বন্ধ করা হয়। ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যকলাপের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় ১২
টি প্রতিষ্ঠান। সবগুলো প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার পর তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়
প্রতিষ্ঠানগুলোতে। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকাবাসীর অভিযোগ ক্রাশিং মিলের এই বায়ু
দূষণ। দূষণ বন্ধ করার জন্য ডাস্ট কালেক্টর বসানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা
হয় মিল মালিকদের।
অভিযানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুজন বড়ুয়া, পরিবেশ অধিদপ্তরের
পরিদর্শক ফয়জুল কবীর ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকালও ভেজাল মেশানো ও দূষণের অভিযোগে ৮ প্রতিষ্ঠানে তালা দেওয়া
হয় ও এক লক্ষ পচাত্তর হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ