চবি শিক্ষক রফিকের যৌন হয়রাণির প্রমাণ মিলেছে

নিউজ ডেস্কঃ
যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এটিএম রফিকুল হকের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। গত বুধবার ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কমিটির সভায় এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পরে এ ব্যপারে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়া মুঠোফোনে পূর্বকোণকে বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠা যৌন হয়রানির অভিযোগে গঠন করা তথ্যানুসন্ধান কমিটি গত বুধবার ৩৯৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে প্রায় দেড়শ জনেরও অধিক শিক্ষার্থীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তথ্যানুসন্ধান কমিটি শিক্ষার্থীদের দেওয়া অভিযোগের সাথে সাক্ষ্য দেওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্যের মিল পেয়েছে। তবে পরবর্তী নির্দেশনা কি হবে, তথ্যানুসন্ধান কমিটি তার কোন সুপারিশ করেনি।
তিনি আরো বলেন, সকল তথ্য–প্রমাণ ডিভিডি আকারে সংরক্ষণ করা হয়েছে। আগামী রবিবার প্রতিবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয় উপচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যতদিন পর্যন্ত বিষয়টি সুরাহা না হয় ততদিন পর্যন্ত ওই শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ফরেস্ট্রি ইনস্টিটিউটের ২০১৫–১৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীরা কক্সবাজার ট্যুরে যায়। সেখান থেকে ফিরে এক ছাত্রী ইনস্টিটিউটের পরিচালক বরাবরে শিক্ষক রফিকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির একটি অভিযোগ দেন। পরে একই অভিযোগে বিভিন্ন সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা আরো দুইটি আলাদা অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে গত ১৬ নভেম্বর অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে ইনস্টিটিউট। প্রধান করা হয় উক্ত ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন : অধ্যাপক ড. মোজাফ্ফর হোছাইন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমীন। পাশাপশি অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িকভাবে সকল একাডেমিক কর্মকা– থেকে বিরত রাখা হয়।
সূত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ