বাঁশখালীতে নির্যাতিতা স্ত্রীর মামলায় শিক্ষক স্বামী জেলে

বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার দায়ের করা ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ধারা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত স্বামী শিক্ষক মোহাম্মদ আয়ুবকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। তবে মামলার বাদি শিক্ষিকা সেলিনা জাহান মামলায় রায়কে সম্মান জানিয়ে আসামি মোহাম্মদ আয়ুবের স্থায়ী চাকুরিচ্যুতি এবং দীর্ঘ শাস্তি দাবি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহ প্রশাসনের বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাধনপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুল আলম চৌধুরীর কন্যা পশ্চিম সাধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সেলিনা জাহানের সাথে নাটমুড়া পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আয়ুবের সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন অজুহাতে মোহাম্মদ আয়ুব তার স্ত্রী সেলিনা জাহানকে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতে থাকেন।
ব্যাপারে যৌতুক নিরোধ আইনের সি. আর ২৪২/১৫ মামলা দায়ের করা হয়। বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ধারা মোতাবেক গত ১৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষক মোহাম্মদ আইয়ুবকে দোষী সাব্যস্ত করে বছরের সশ্রম কারাদএবং হাজার টাকা অর্থদঅনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ িত করেছেন। আসামি মোহাম্মদ আয়ুব গত ২৫ সেপ্টেম্বও বাঁশখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন পূর্বক আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বাঁশখালী আদালতের সিনিয়র আইনজীবী .. শাদাত আলম বলেন, যৌতুক নিরোধ আইনে আদালত এক শিক্ষককে বছরের কারাদ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন
সুত্র : দৈনিক পূর্বকোণ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ