বঙ্গবন্ধুর আদর্শে কাজ করে যাওয়ার আত্মপ্রত্যয়-মাঈনুল মান্নান

বিএন ডেস্কঃ
প্রায় ২ দশক পর নবগঠিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দক্ষিণ জেলা শাখার গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন তূণমূল থেকে ওঠে আসা নবীন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক বাশঁখালী উপজেলার কৃতি সন্তান মাঈনুল মান্নান। তিনি পূর্বে বাহারচড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন-সম্পাদক এবং বাঁশখালী উপজেলা বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার যুগ্ন-আহ্বায়ক এর দায়িত্বে ছিলেন।

কমিটিতে স্থান পাওয়ার পর তার প্রতিক্রিয়া জানতে তার সাথে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করেন।নিচে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হলো
প্রতিবেদক:অভিনন্দন,মাঈনুল মান্নান,নব-নির্বাচিত গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ববাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা।
মাঈনুল মান্নান:ধন্যবাদ,দোয়া কামনা করি আপনার।

প্রতিবেদক:মাঈনুল মান্নান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটিতে নির্বাচিত হয়ে আপনার অনূভুতি?
মাঈনুল মান্নান: প্রথমেই শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি বাঙ্গালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বাঙ্গালির রাখাল রাজা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমাম কে।ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ-সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন ভাই কে।আসলে বলতে কি, বঙ্গবন্ধুর অাদর্শিক যেকোন কর্মীর জন্য বঙ্গবন্ধুর অাদর্শের সংগঠনের পদ পদবিই জীবনের সেরা প্রাপ্তি, অার সংগঠনের হয়ে কাজ করতে পারার সুখঅনুভূতির রেশটা অন্যরকম।

প্রতিবেদক:রাজনীতি তে আপনার পথচলা কখন শুরু হয়?
মাঈনুল মান্নান: জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সাথে পরিচয়ের হাতেখড়িটা পারিবারিক ভাবেই, অামার বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রগতিশীল লেখক এবং সামজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তিত্ব ছয় ভাই বোন সবাই শিক্ষিত বাবা অামাদের সাথে বন্ধুর মত সব বিষয় অালোচনা করতো, জানাতো। অামাদের সময় পাঠ্যবইতে স্বাধীনতা সম্পর্কে অনেক বিষয়ে সঠিক তথ্য ছিল না, সেসব বাবা অামাদের জানাতেন অার বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব, বাগ্মিতা সম্পর্কে বলতেন। মাঠের রাজনীতির সূচনা ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে মাধ্যমে সে নির্বাচনে জেটাতো ভাই মুজিবর রহমান অাওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান পার্থী, এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখেই দুপুর থেকে রাতপর্যন্ত প্রচারপ্রচারণা করতাম। এসএসসি পাশ করে উপকূলীয় কলেজে ভর্তি হয়ে সেখানে দীর্ঘ সময় ছাত্রলীগের কর্মীদের সংগঠিত করলেও কমিটি না হতে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হই চট্টগ্রাম কলেজে, সেখানে ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়লেও বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি অানচারুল হক চৌধুরীর অাদিব ভাইয়ের অনুরুধে ইউনিয়ন রাজনীতিতে সক্রিয় হই, ২০১২ সালে নির্বাচিত হই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্নসম্পাদক, এতে অানিসুল হক চৌধুরী সভাপতির সাথে নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটি ওয়ার্ড কমিটি করতে নিরলস ভাবে কাজ করি, একই সাথে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান কালে অারেক জেটাতো অারিফুজ্জামান ভাইয়ের সাথে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের মিছিল মিটিং নিয়মিত অংশগ্রহণ শুরু করি, গ্রামে অাসলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কাজকর্ম, সাথে উপজেলা ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ, শহরে দক্ষিণ জেলা, চট্টগ্রাম কলেজে মহেশখালীর অাবু রশিদ অারিফ ভাই, সাইফুল জয় ভাইয়ের সাথে রাজনীতি করতাম পরে ২০১৪ শেষ দিকে কলেজ রাজনীতিতে সময় দেওয়া হত না অারিফুজ্জামান অারিফ ভাইয়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে।

তবে স্থানীয় রাজনীতি তে আকর্ষণ করতো সাবেক ছাত্রনেতা,চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা'র ছাত্রদের নয়ন মণি,তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটন ভাই।২০০৯ সালের নির্বাচনে ওনাকে খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিলো,তখন দেখেছিলাম তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, তৃণমূলের প্রতি টান।আসলে এভাবেই রাজনীতি র পথচলা।

প্রতিবেদক:হয়তো আপনি অবগত আছেন এখন ও বাশঁখালী'র রাজনীতির মাঠে জামায়ত শিবির খুবই শক্তিশালী ভূমিকা রাখে!!!!
মাঈনুল মান্নান: আসলে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম অনেক সচেতন তারা বুঝতে পারে কারা স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে তাদের ভূমিকা।যে কথা টা না বললেই নই,আমাদের ইউনিয়ন ছাত্রলীগ পূর্বে ও স্বাধীনতা বিরোধী দের ষড়যন্ত্র রূখে দিয়েছে।ভবিষ্যৎ এ দিবে।

প্রতিবেদক:আমরা অবগত আছি ১৪ সালের নির্বাচনের আগে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী কে চাদেঁ দেখা যাওয়া নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছিলো,অনেক দোকান পোড়ানো হয়েছিলে বশিউল্লাহ মিয়াজির বাজারে;
মাঈনুল মান্নান: হুম,আমরা জনগণ কে মাইকিং করেছিলাম এসব গুজবে কান দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য,আমরা তাদের হরতাল বিরোধী অবস্থান কর্মসূচী পালন করতাম।

প্রতিবেদক:আপনি তো বিগত ইউনিয়ন কমিটি তে পদধারী ছিলেন,ছাত্র দের কল্যাণে আপনারা কি উদ্যোগ নিয়েছিলেন?
মাঈনুল মান্নান:আমরা বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থী দের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছিলাম,বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে আলোচনা সভা,কুইজ প্রতিযোগিতা,বিভিন্ন দুর্যোগের সময় এলাকাবাসীর পাশে ছিলো আমাদের ৪নং বাহারচড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ।
প্রতিবেদক: পূর্বে ইউনিয়ন,থানায় দায়িত্ববান ছিলেন,এখন জেলা কমিটির পদধারী;আপনার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভাবনা?
মাঈনুল মান্নান:আমার রাজনীতি র নাড়ি তূণমূল।

বাঁশখালীতে মৌলভী সৈয়দের মত বীর সন্তানের জন্ম হলেও বাঁশখালীতে স্বাধীনতা বিরুদ্ধী শক্তির ঘাটি, অাজো এখানে প্রকাশ্য জামাত শিবিরের কর্মকান্ড হয়, সেসব কর্মকান্ড বন্ধ করতে ইউনিয়নে ছাত্রলীগের দুর্গ হিসাবে গড়তে মেধাবী ছাত্রদের রাজনীতিতে অানা।। ছাত্রদের অধিকার সচেতন করে গড়ে তোলে ছাত্রদের জন্য কাজ করা।অনেক সময় দেখা যায় ছাত্রনেতারা তাদের পদ অনুযায়ী কার্য সম্পাদন করেন না।আমি আমার পদের পূর্ণ মর্যাদা দিতে চাই।আমার কাজের পরিধি হবে সমগ্র দক্ষিণ জেলার সব আনাচে-কানাচে।

প্রতিবেদক:সামনে জাতীয় নির্বাচন,আপনার নির্বাচনী ভাবনা?
মাঈনুল মান্নান: আমরা দক্ষিণ জেলার সকল নেতা কর্মী একসাথে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীদের জয়যুক্ত করতে কাজ করে যাবো।বঙ্গবন্ধু র সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন এ আমরা একতাবদ্ধ থাকবো।
সূত্রঃ এমটিভিনিউজ২৪

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ