দালাল শুক্কুরের কাছে জিম্মি বাঁশখালী উপকূলের লবণ চাষিরা!


বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: আবদু শুক্কুর। ছনুয়া ইউনিয়নের সুলতান সিকদার পাড়ার মৃত জাফর আহমদের পুত্র তিনি। দায়িত্ব পালন করছেন ছনুয়া ৩নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হিসেবে।

জানা যায়, আবদু শুক্কুর একজন লবণ ব্যবসায়ী। চাষীদের কাছ থেকে নামমাত্র মুল্যে লবণ কিনে চড়া দরে বিক্রি করেন তিনি। অভিযোগ আছে, তাঁর কাছে অনেকটা বাধ্য হয়ে লবণ বিক্রি করতে হয় স্থানীয় লবণ চাষীদের। বাইরের কোনও বোট ছনুয়া খালে ভিড়তে পারে না শুক্কুরের কারণে।

১৯৯৯ সালের ৪ আগস্ট ছনুয়া মনুমিয়াজী বাড়ীর মৃত হাবিবুল হক চৌধুরীর ছেলে আবু মো. মালেকুল হক চৌধুরী ডাকাতদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন। ‘দালাল শুক্কুর’ নামে পরিচিত এই ব্যক্তিও চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার আসামি।

সর্বশেষ, গত ১৩ জুন ছনুয়া সুলতান সিকদার পাড়ার মৃত মতিউর রহমানের পুত্র আবুল হাশেম বাঁশখালী থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় শুক্কুরসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে হত্যা চেষ্টা সহ নানা অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।

স্থানীয় লবণ চাষীরা জানান, ছনুয়া খালে ভিড়তে পারে না বাইরের কোনও লবণের বোট। শুক্কুরের বাধার কারণে অন্য ব্যবসায়ীরা ছনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রাম থেকে লবণ কিনতে পারেন না। ফলে চাষীদেরকে অনেকটা বাধ্য হয়ে লবণ বিক্রি করতে হয়। কেউ দালাল শুক্কুরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলে নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে এক লবণ চাষী বলেন, ‘আবদু সামাদ প্রকাশ ছইত্তারো ঘোনা থেকে ন্যায্যমূল্য দেওয়ার কথা বলে চাষীদের কাছ থেকে নিজের বোটে করে লবণ নিয়ে যায়। কিন্তু লবণ বিক্রি করার পর ন্যায্যমূল্য দেওয়া হয় না। অন্য লবণ ব্যবসায়ীর তুলনায় ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত মূল্য কম দেন দালাল শুক্কুর। এ ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ করলে নেমে আসে নির্মম নির্যাতন।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানার জন্য আবদু শুক্কুর ওরফে দালাল শুক্কুরকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। লবণ চাষিরা তো আমাকে কিছু বলেনি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে উভয় পক্ষকে ডেকে সমাধান করবো।’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ