বাঁশখালীতে ২টি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংষর্ষে আহত প্রায় ৩০

মোহাম্মদ এরশাদঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই বাসচালক, সহকারীসহ অন্তত ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী (পিএবি) সড়কের বৈলগাঁও দমদমা দিঘী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৮ জনকে চমেক হাসপাতালে ও অন্যান্যদের স্থানীভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
 ২নং সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা ও বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদারের সার্বিক সহযোগিতায় দীর্ঘ   সাড়ে তিন  ঘন্টার  প্রচেষ্টার মাধ্যমে এবং  ঘটনাস্থলে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আকতার ও বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে দুর্ঘটনাকবলিত আহত যাত্রীদের উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছেন।

বাস যাত্রী ও স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া পেকুয়া-মগনামা অভিমুখী যাত্রীবাহী সানালাইন সার্ভিস ও পেকুয়া উপজেলার টইটং থেকে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট অভিমুখী যাত্রীবাহী স্পেশাল সার্ভিস বাস দু’টি দমদমার দিঘী এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের উদ্ধারে তৎপরতা চালান। দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটিতে অন্তত ৫৫ জন যাত্রী ছিল।
দুর্ঘটনায় সানলাইন বাস চালক সাধনপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ ফারুক (৪০), স্পেশাল সার্ভিস নাজ এক্সপ্রেস চালক মোহাম্মদ দেলোয়ার (৩৫), সহকারী মামুন (৩২), যাত্রী পশ্চিম গুনাগরী গ্রামের মোক্তার আহমদ (৫৫), বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক জহিরুল কাদের জাবেদ (৪৫), কোকদন্ডী গ্রামের পপি চক্রবর্তী (৪৭), জলদী গ্রামের রায় গোপাল শীল (৫৪), গ্রামীণ ব্যাংক, সাধনপুর শাখার ম্যানেজার সরওয়ার কামাল (৫২), গণ্ডামারার শিশু রায়হান (১০)।
অন্যান্য আহতদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তবে আহতদের মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও বাস যাত্রীরা জানিয়েছেন।
আহতদের মধ্যে ৬ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত সানলাইন বাসের চালক মোহাম্মদ ফারুককে গাড়ির সামনের অংশ কেটে উদ্ধার করা হয়েছে।তার চিকিৎসার ব্যবস্থা চলছে।

 এ প্রসঙ্গে  বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা  বলেন, সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। অতিরিক্ত গাড়ী, লাইসেন্স বিহীন চালক এবং বেপরোয়া গতিই দূর্ঘটনার মুল কারণ। এ ছাড়াও অসচেতনতার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ। তাই উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু করা এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে দুর্ঘটনা অনেকটা রোধ করা সম্ভব হবে।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, বাস দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধার তৎপরতার মাধ্যমে আহতদেরকে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। বাস সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে কোন যাত্রী নিহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ