বাঁশখালীর কলগার্ল মরজিনার আয়ের উৎস মাল্টি বিয়ে, নেপথ্যে মা জাফরিন (পর্ব- ১)

মোঃ মনছুর আলম (এম আলম):
বিয়ের নামে প্রতারণা করে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মরজিনা। সে সুন্দর যুবক দেখলে প্রেমের ফাদে ফেলে বিয়ে করে কাবিন নামায় উল্লেখিত টাকা হাতিয়ে নেয়। কাবিনের টাকা দিতে না পারলেও মামলার হুমকি দিয়ে যেকোন উপায়ে আদায় করে নেয়।। এ ঘটনায় তার এলাকা জুড়ে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। মরজিনা খান খোকো'র বয়স ২৮ বছর। তিনি তার মা জাফরিন আক্তারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এ পর্যন্ত একাদিক (মাল্টি) বিয়ে করেছেন বলে জানা গেলেও ৩টি বিয়ের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় অবস্থিত গুনাগরি এলাকার রামদাস মুন্সির হাটের পরচিত দৌলত খাঁন মাইক সার্ভিসের সত্ত্বাধিকারীর একমাত্র কন্যা এই মরজিনা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত ২০০৮ সালে বাঁশখালীর জলদি মিয়ার বাজার এলাকার হিরা নামের এক যুবগের সাথে সামাজিক ভাবে মরজিনার বিয়ে হয়। তাদের ওরশজাতে একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। তাদের সংসার চলার ২/৩ বছরের মাথায় মরজিনা নোয়াখালীর এক ফেরিওয়ালার সাথে পরকিয়া সম্পর্ক ঘড়ে তুলে। মরজিনার বাপের বাড়ির পাশে ঐ ফেরিওয়ালা একটি ঘরে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করত। সেই সুবাধে মরজিনা শ্বশুর বাড়ি থেকে তার বাপের বাড়িত গেলে পরকিয়া প্রেম ভালই জমত। ১ম স্বামীর আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়ে গেলে মা জাফরিন তাদের এই পরকিয়া সম্পর্কে সম্মতি দিয়ে মরজিনার ১ম স্বামীর নিকট থেকে তালাকের মাধ্যমে কাবিনের টাকা আদায় করে নেয়। পরে ২য় বারের মত ঐ ফেরিওয়ালার সাথে মরজিনার বিয়ে হয়। ২য় বিয়ের কিছু সময় যেতে না যেতেই মরজিনার সাথে পুনরায় পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে তার বাপের বাড়ির পাশের স্থানীয় এক যুবকের সাথে। ঐ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে নোয়াখালীর ঐ ফেরিওয়ালা চক্ষুলজ্জা এড়াতে পালিয়ে যায়, এরপর থেকে তার আর কোন খবর মেলেনি। পরে পাশের বাড়ীর ঐ যুবকের সাথে বিয়ে হওয়ার কথা বলে তাদের প্রেম চলতে থাকে এবং সে মরজিনার মা'কে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করেও আসছিল। এইভাবে পরকিয়া প্রেম চলার কিছু সময় পর মরজিনার সাথে পুনরায় ৩য় বারের মত পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে চাপাছড়ি এলাকার জনৈক হারুনুর রশিদের পুত্র ইমতিয়াজ নামের এক বিদেশীওয়ালার সাথে। বিভিন্ন মিথ্যা মামলার হুমকির মুখে পাশের বাড়ির ঐ যুবক মুখখোলার সাহস করেনি। জানা জায়, ইমতিয়াজ একসময় তার বাবার দোকানের চাকর ছিল। এবার ইমতিয়াজের পরকিয়ার জেরে শেষ পর্যন্ত বিয়ের ফিড়িতে পৌঁছে মরজিনা। মরজিনা ৩য় বারের মত ইমতিয়াজের সাথে বিয়ে করে সংসার শুরু হয়। ইমতিয়াজ ছুটি শেষে বিদেশ চলে যাওয়ার পর মরজিনা জোরপূর্বক গার্মমেন্টসে চাকুরী করতে চলে যায়। সেখানে মরজিনার নতুন নতুন পরকিয়া সম্পর্কের জেরে মোবাইল ফোনে ইমতিয়াজের সাথে বিভিন্ন সময় ঝগড়াঝাটি হত। এমনকি মরজিনা কলগার্লে রূপান্তরিত হয়। একপর্যায়ে মরজিনা তার ৩য় স্বামী ইমতিয়াজের নিকট থেকে মামলার হুমকি দিয়ে তালাকের মাধ্যমে বিদেশ থাকা অবস্থায় কাবিনের টাকা আদায় করে নেই। শেষ পর্যায়ে শুরু হয় এহসান নামের এক যুবকের সাথে ৪র্থ বিয়ের কাহিনী। 

তিনি বলেন, আমাকে বিয়ে করার আগে আরো ৩ ব্যক্তিকে বিয়ে করে আমার কাবিননামায় সে নিজেকে কুমারী উল্লেখ করে। আমার সাথে দীর্ঘ ২বছর সংসার করার পরে কাবিনের টাকা দাবি করলে তার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েও থামাতে পারিনি তার চাহিদা। সেই এখন বাপের বাড়ি গিয়ে নগদ টাকা সহ বিভিন্ন শর্ত দেখিয়ে আমার কাছে ফিরে আসতে চাচ্ছে না। আমি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মাধ্যমে তার সকল শর্ত মেনে নিয়ে চলে আসার প্রস্তাব দিলেও পুনরায় অন্য বাহানা শুরু করে দেয়। গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও এখন তাদের এমন বহুরুপিতা দেখে লজ্জায় চুপ হয়ে গেছে। তবে আমি কয়েকদিন আগেও জানতান না তার আগে বিয়ে হয়েছিল। এইঘটনা ঘটার পর থেকে লোকমুখে তার আগের বিয়ে ও প্রতারণার কথা সহ কিছু তথ্যপ্রমাণ আমার হাতে আসছে। যা দেখে ও শুনে আমি নির্বাক। এমনকি এবার বাপের বাড়িতে গিয়ে তার তালাক দেওয়া ৩য় স্বামী ইমতিয়াজের সাথে নতুন করে আবার যোগাযোগ শুরু করে দেয় এবং এরমধ্যে মরজিনার মা ঐ বিদেশীওয়ালা ইমতিয়াজের কাছ থেকে টাকাও নিয়েছে। ইমতিয়াজকে বিভিন্ন কলাকৌশলে বুঝিয়ে পুনরায় মরজিনাকে তার হাতে তুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এহসান আরো বলেন, বাপের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে মরজিনার সাথে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে না। কয়েকদিন আগে তার এক পাড়াতো চাচা ইউনুসকে বুঝিয়ে তার মোবাইলের মাধ্যমে মরজিনার সাথে কথা বলেন এহসান। মরজিনা এহসানকে বলেন, আমি এসব কিছু জানি না, আমার মায়ের সাথে কথা বলেন, আমার মা যেভাবে বলবে সেভাবে হবে। এই বলে মরজিনা কল কেটে দেয় বলে এহসান জানান। 

অনুসন্ধ্যানে আরো জানা যায়, মরজিনা ঠিক তার মায়ের কথা মত চলে মায়ের মত হয়ে যাচ্ছে। তার মা জাফরিনও এলাকায় অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

/শীঘ্রই আসিতেছে ২য় পর্ব, চোখ রাখুন...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ