প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরিক্ষা সারা দেশের নেয়ায় বাঁশখালীতে একযোগে শুরু

মোহাম্মদ এরশাদঃ 
১৭ নভেম্বর
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরিক্ষা সারা দেশের নেয়ায়একযোগে বাঁশখালীতেও  শুরু হয়েছে।
২৯ লাখ শিক্ষার্থী দেশের প্রায় সাড়ে সাত হাজার কেন্দ্রে একযোগে প্রাথমিক ও ইবেতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছে।  এবার অংশ নিচ্ছে ২৯ লাখ ৩ হাজার ৬৩৮ জন ক্ষুদে শিক্ষার্থী।পঞ্চম শ্রেণির এই শিক্ষার্থীরা প্রথম দিন অংশ নিচ্ছে ইংরেজি পরীক্ষায়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। সমাপনী পরীক্ষা শেষ হবে ২৪ নভেম্বর।প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় এবার ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। তাদের মধ্যে ছাত্র ১১ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ জন, ছাত্রী ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় প্রাথমিকে পরীক্ষার্থী কমেছে দুই লাখ ২৩ হাজার ৬১৫ জন।মাদ্রাসা পর্যায়ের ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় তিন লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে, যার মধ্যে এক লাখ ৮৭ হাজার ৮২ ছাত্র এবং এক লাখ ৬৩ হাজার ২৮৯ জন ছাত্রী। ইবতেদায়িতে গতবারের তুলনায় পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৩০ হাজার ৯৮৩ জন।এবার প্রাথমিকে তিন হাজার ৩৪৭ জন এবং ইবতেদায়িতে ২৩৬ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীও পরীক্ষায় বসেছে।প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল দেওয়া হলেও ২০১১ সাল থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সমাপনীর ফল দেওয়া হচ্ছে। আগে এই পরীক্ষার সময় দুই ঘণ্টা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে পরীক্ষার সময় আধ ঘণ্টা বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে তিন বছর ধরে দেশের ৬৪ জেলাকে বিশেষ আটটি অঞ্চলে ভাগ করে আট সেট প্রশ্ন ছাপিয়ে প্রাথমিক ও ইবেতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী নিচ্ছে সরকার।পরীক্ষার খাতা দেখায় স্বচ্ছতা আনতে এবার এক উপজেলার খাতা অন্য উপজেলায় মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। সারাদেশে সর্বমোট সাত হাজার ৪৭০টি কেন্দ্রে এবারের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে দেশের ভেতরে অভ্যন্তরে সাত হাজার ৪৫৮টি এবং আটটি দেশে ১২টি কেন্দ্র রয়েছে।দেশের বাইরে সৌদি আরবে চারটি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুইটি এবং বাহরাইন, ওমান, কুয়েত, লিবিয়া, গ্রীস, ও কাতারে একটি করে কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬১৫ জন, এর মধ্যে ২৮৯ জন ও ছাত্রী ৩২৬ জন।


এর ধারাবাহিকতায় বাঁশখালী উপজেলার অন্তর্গত কালীপুর ইউনিয়নস্থ কোকদন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গিয়ে কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সাথে যোগাযোগ করার জন্য যখন অফিস কক্ষের দিখে এগিয়ে গেলে,অফিসের সামনে ও অফিস রুমে অনেক লোকের সমাগম,মূহুর্তে আমিও একই স্থানে ডুকে গিয়ে সমস্যা কি তা জানার চেষ্টা করি, তখন পরিক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট সময় বাকী, স্থানীয় ও ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক গণ কেন্দ্র সুপার ভাইজার মোঃ আজাদ, উইএনও অফিসের সরকারি কর্মকর্তা এস এম কফিল উদ্দীন ও কেন্দ্র সচিব তড়িৎ সরকারের সাথে কিছু পরিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মুখে একটি কথা বলতে শুনি নিয়ম অনুয়ায়ী যে সিরিয়াল করা হয়েছে সেই সিরিয়াল তাদের পছন্দ হয়নি ,যাতে তাদের ছেলে মেয়েদের তাদের পছন্দ স্থান টিতে দেওয়া হয় না হলে সমস্যা হবে বলে দিলাম,পরিচালক বৃন্দ তখন অভিভাবক গণদের উদ্দেশ্যে বলেন আমরা নিয়ম অনুয়ায়ী সিয়ার করেছি, আমরা আবার সেই সিয়াল বাতিল করলে সকলের জন্য সমস্যা হবে বলে জানাতে, অভিভাবক গণ মূহুর্তে চেচামেচি ও জামেলার চেষ্টা করতে চাইলে, তাত্ক্ষণিক কেন্দ্র সচিব সকল অভিভাবকগণদের শান্ত হতে বলেন আর তাদের বিষয় টি দেখতেছেন বলে অনুরোধ করে সকলকে অফিস থেকে বের হতে বলেন, কিছু কক্ষন পর সেই অভিভাবক গণ অফিস থেকে বের হয়,এর পর আমি সকলের পরিচালক বৃন্দের পরিচয় দি ,পরে কেন্দ্র সচিব তড়িৎ সরকারকে নিয়ে পরিক্ষার্থীদের রুম পরিদর্শন করে ছাত্র ছাত্রী দের সাথে কথা বললে তারা জানান আমরা খুব ভালো ভাবে সুশৃঙ্খল নিয়মে পরিক্ষা দিচ্ছি, তবে রুমে একটু আলোকম,পরে অফিস কক্ষে লোকজনের ভিড় ও পরিক্ষার্থীদের রুমে আলো সমস্যা নিয়ে জানতে চাইলে তাহারা বলেন প্রথমে অফিসে লোকের ভিড় বিষয়টি স্থানীয় কিছু ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক বৃন্দ আমাদের বিভিন্ন ভাবে পেশার দিতে লাগে, নিয়ম অনুয়ায়ী যে যায় স্থানে সিট বসিয়েছি এখন নাকি তাদের সেই সিট গুলি পছন্দ হয়নি,পছন্দ হলে কি হবে ওমুক শিক্ষক সেই রুমে দিতে হবে বলে আমাদের বলতে লাগে এবং না দিলে ওমুক সমুক বলে হুমকি প্রদান করে, দ্বিতীয় বিষয় টি রুমের সব জানালা বন্ধ আছে বিদায় রুমে আলো একটু কম দেখাচ্ছে বলে জানান। উল্লেখ্য কোকদন্ডী সরকারি প্রাথমিকবিদ্যালয়ে কেন্দ্রে প্রাথমিক ২৭৭ জন ও ইবতেদায়ী ১২৬ জন, সর্ব মোট ৪০৩ জন পরিক্ষার্থী  অংশগ্রহণ করেন।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ