বিপদ সংকেত শুনতে পেয়ে ঢাকা থেকে বাঁশখালী বাসীর পাশে ছুটে আসলেন এমপি মোস্তাফিজ

মোহাম্মদ এরশাদ 
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র হাত থেকে নিরাপদ আশ্রয় স্থলে সরিয়ে নিতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও ঘূর্ণিঝড় অফিস। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রীম প্রস্তুতি হিসাবে কন্ট্রোল রুম ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।বিপদ সংকেত প্রবল দেখে ঢাকা থেকে শুক্রবার রাতে বাঁশখালী বাসীর পাশে ছুটে আসলেন বাঁশখালীর সংসদ অর্থ মন্ত্রানালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্জ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, তিনি সকল প্রস্হুতি মনিটরিং করছেন এবং এলাকার মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

ঘুর্ণিঝড় প্রস্হুতি নিয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার জানান, আহুত ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে মানুষকে সহায়তা দিতে উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার থেকে মাইকিং করে সতর্কতা জারী করে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাঁশখালী ঘুর্ণিঝড় অফিসে দায়ীত্বরত কর্মকর্তার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উপজেলার পুকুরিয়া, খানখানাবাদ, বাহারছড়া, কাথারিয়া, সরল, শীলকূপ, গন্ডামারা, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি, ছনুয়া ইউনিয়নকে উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ১০টি ইউনিয়নে নিযুক্ত ১হাজার ৬৫জন প্রশিক্ষিত সিপিপি'র সেচ্ছাসেবক যে কোনো পরিস্থিতিতে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরও জানান স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করতে উপকূলীয় এলাকা গুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে এবং সংকেত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০২টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সূত্র, মংলা ও পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম কে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্য বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশ যখন অতিক্রম করবে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার থাকতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ