বি,এন ডেস্কঃ
বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল গ্রামের বেড়িবাঁধটি জোয়ারের পানিতে ভেঙে গেছে। প্রতিনিয়ত ঢুকছে জোয়ারের পানি। এলাকার লোকজন পানি আতঙ্কে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে। এদিকে গত ১৩ আগস্ট দিবাগত রাতে সাধনপুর জেলে পাড়ায় ৫টি বসতঘর সাগরগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপকূলীয় বাঁশখালী এলাকায় সরকারিভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ৩ শত কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজ ৪ বছর ধরে চলমান থাকলেও সাগর ও নদীর কিনারের মানুষগুলো আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ট্রান্সফোর্সের তদারকির মাধ্যমে বেড়িবাঁধের কাজ চলমান থাকলেও দুর্নীতি দমন কমিশনকে কাজের মান তদারকির জন্য স্থানীয়রা দাবি জানিয়েছেন।
বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল গ্রামের বেড়িবাঁধটি জোয়ারের পানিতে ভেঙে গেছে। প্রতিনিয়ত ঢুকছে জোয়ারের পানি। এলাকার লোকজন পানি আতঙ্কে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে। এদিকে গত ১৩ আগস্ট দিবাগত রাতে সাধনপুর জেলে পাড়ায় ৫টি বসতঘর সাগরগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপকূলীয় বাঁশখালী এলাকায় সরকারিভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ৩ শত কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজ ৪ বছর ধরে চলমান থাকলেও সাগর ও নদীর কিনারের মানুষগুলো আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ট্রান্সফোর্সের তদারকির মাধ্যমে বেড়িবাঁধের কাজ চলমান থাকলেও দুর্নীতি দমন কমিশনকে কাজের মান তদারকির জন্য স্থানীয়রা দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বাঁশখালী উপজেলায় খানখানাবাদ,
বাহারছড়া, গ-ামারা, ছনুয়া ও সাধনপুর এলাকায় ২৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে টেন্ডার
আহ্বানের মাধ্যমে বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে
কাজের জন্য ৪৬ কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হয়। প্রায় ৩ শত কোটি টাকা ব্যয়ে
বাঁশখালী উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থায়ী বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ চলমান
রয়েছে। কাজ চলমান থাকাবস্থায় খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল গ্রামে ২ চেইন
পরিমাণ বেড়িবাঁধের অংশ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে।
খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল হালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ছাদুর রশিদ, মোহাম্মদ
মিয়া, হাবিবুল্লাহ, মোহাম্মদ করিম জানান, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন স্থানে
ঝাউবাগানগুলো জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। কিছু দূরবর্তী স্থানে বেড়িবাঁধ
তৈরি করা হলেও প্রায় ১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ব্লক বসানো হয়নি। প্রতিদিন
মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে। সমুদ্রে জোয়ারের পানি
ঠেকানোর জন্য যেন কেউ নেই। সাগর উত্তাল হলেই এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রতিদিন ঢুকে পড়ে। প্রেমাশিয়া বেড়িবাঁধ
নির্মাণকাজের অনিয়মের কারণে বাঁধের অংশসহ অধিকাংশ পানি ঠেকানো ব্লক ধসে
পড়েছে।
সাধনপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের জেলে পাড়ার বাসিন্দা মন্টু জলদাশ জানান,
রাতাখোদ্দ মৌজার অধিকাংশ বসতবাড়ি সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। গত ৩ দিনে মতিলাল
জলদাশ, শান্ত জলদাশ, জয় রাম জলদাশ, সুর্যসেন জলদাশ, উদ্ভাস জলদাশের বসতবাড়ি
পানিতে বিলীন হয়ে গেছে। এক বছরে গেছে শতাধিক বসতঘর।
বেড়িবাঁধ ভাঙনের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে উপসহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের জানান, বেড়িবাঁধের ভাঙনের অংশে জোয়ারের পানি ঠেকানোর জন্য ১২টি প্যাকেজে টেন্ডারের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বেড়িবাঁধ ভাঙনের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে উপসহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের জানান, বেড়িবাঁধের ভাঙনের অংশে জোয়ারের পানি ঠেকানোর জন্য ১২টি প্যাকেজে টেন্ডারের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
\দৈনিক পূর্বকোণ\
0 মন্তব্যসমূহ