মিন্নির গ্রেপ্তার চান শ্বশুর

বি,এন ডেস্কঃ
বরগুনায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার শিকার রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম তাঁর পুত্রবধূ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির গ্রেপ্তার দাবি করেছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল হালিম অভিযোগ করেন, রিফাত হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মিন্নি প্রতিদিন একাই কলেজে যেতেন। ঘটনার দিনও তিনি একা কলেজে গিয়েছিলেন। এরপর মিন্নি ফোন করে রিফাতকে কলেজে ডেকে নেন।
আবদুল হালিমের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নিহত নয়ন বন্ডের সঙ্গে হওয়া বিয়ের কথা গোপন করেছিলেন মিন্নি ও তাঁর পরিবার। নয়নকে তালাক না দিয়েই তিনি (মিন্নি) রিফাতকে বিয়ে করেন। তাঁর ভাষ্য, বিয়ের পরেও মিন্নি নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন।
বরগুনায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার শিকার রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম তাঁর পুত্রবধূ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির গ্রেপ্তার দাবি করেছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল হালিম অভিযোগ করেন, রিফাত হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মিন্নি প্রতিদিন একাই কলেজে যেতেন। ঘটনার দিনও তিনি একা কলেজে গিয়েছিলেন। এরপর মিন্নি ফোন করে রিফাতকে কলেজে ডেকে নেন।
আবদুল হালিমের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নিহত নয়ন বন্ডের সঙ্গে হওয়া বিয়ের কথা গোপন করেছিলেন মিন্নি ও তাঁর পরিবার। নয়নকে তালাক না দিয়েই তিনি (মিন্নি) রিফাতকে বিয়ে করেন। তাঁর ভাষ্য, বিয়ের পরেও মিন্নি নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন।
আবদুল হালিম শরীফ সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, নিহত নয়ন বন্ডের মা সাহিদা বেগম বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মিন্নি ঘটনার আগের দিনও তাঁর বাসায় গেছেন এবং নয়নের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ ছাড়া ঘটনার পর নতুন করে প্রকাশ পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কলেজ গেট থেকে রিফাত শরীফকে ধরে নেওয়ার সময় মিন্নি নির্লিপ্ত ছিলেন। এরপর কুপিয়ে জখম করার পর মিন্নি রিফাতকে হাসপাতালে নেওয়ার বদলে নিজের জুতা খুঁজছিলেন এবং আক্রমণকারীদের একজন তাঁর (মিন্নি) হাতব্যাগ তুলে দিচ্ছিল। আবদুল হালিম বলেন, এতগুলো তরুণ রিফাতের ওপর হামলা চালাল অথচ একটি আঘাতও মিন্নির শরীরে লাগল না —এটা রহস্যজনক।
আবদুল হালিম বলেন, রিফাত রক্তাক্ত অবস্থায় একাই রিকশায় করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যান। এরপর যখন গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে অ্যাম্বুলেন্সে বরিশাল নেওয়া হয় তখন মিন্নি তাঁর সঙ্গে যাননি।
আবদুল হালিম আরও বলেন, ‘আমার প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব ক্ষেত্রে মিন্নির ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার ঝড় বইলেও কেন তাঁকে (মিন্নি) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপির কাছে দাবি জানাই, অবিলম্বে মিন্নিকে আটক করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। আর সেটা করা হলেই রিফাত শরীফ হত্যার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন হবে’
আবদুল হালিম শরীফের অভিযোগ প্রসঙ্গে মিন্নির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর বাবা মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার মেয়েকে নিয়ে নেতিবাচক নানা মন্তব্য ও খবর প্রকাশ করা হচ্ছে। এ কারণে সে (মিন্নি) সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তাই তাকে আজ (শনিবার) চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। আর এসব অভিযোগের বিষয়ে আমার মেয়ে সুস্থ হোক সে এবং আমরা সবাই কথা বলব।’
গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বেলা তিনটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। পরদিন এই ঘটনায় রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং ৪-৫জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন।
/প্রথম আলো/

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ