ঈদ্গাঁর আলমগীরের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট স্থানীয় ব্যবসায়ীরা



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের ঈদ্গাঁও খোদাই বাড়ী এলাকায় আলমগীরের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী সহ সাধারণ জনগন। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বি. আলম খাঁন ট্রেডিং এর মালিকের নিকট থেকে চাঁদা দাবি করে আসতেছে বলিয়া জানা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ই মে বিকাল অনুমান ০৪.০০ ঘটিকার দিকে উক্ত ব্যবসায়ীর মালামাল পরিবহনের গাড়ী তার কারখানায় আসার পথে আলমগীর তার সহযোগিদের নিয়ে চাঁদা দাবি করে। এতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক তাকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করিলে তাকে মারধর সহ ১ সপ্তাহের মধ্যে চাঁদা না দিলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা সহ প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় বলে জানা যায়। এই ব্যাপারে খোদ বি.আলম খাঁন ট্রেডিং এর মালিক বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন বলে জানা গেছে।

আলমগীরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও তার চাঁদাবাজি বন্ধ না করে স্বরাকে ধরা জ্ঞান করে দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গত ২৩ই জুন দুপুর অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় পুনরায় তার সহযোগিদের নিয়ে চাঁদা দাবীতে বি.আলম খাঁন ট্রেডিং এর মালামাল পরিবহনের গাড়ী আটক করে তার কর্মচারীদের শারীরিক নির্যাতন করে বলে জানা যায়। পরে খবর পেয়ে ঈদ্গাঁও তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার সহ গাড়ী বি.আলম খাঁন ট্রেডিং কারখানায় পৌঁছে দেয় বলে জানা গেছে।

এছাড়াও, এলাকায় নতুন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন কিংবা ঘর-বাড়ী কেউ নির্মাণ করতে চাইলে আলমগীর ও তার সহযোগিরা চাঁদা দাবি করে আসতেছে বলে জানা যায়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জন সাধারণেরা জানান, আলমগীর ও তার সহযোগিরা এতই প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর যে, তাদের এই অহিন চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস কারো নাই বলে জানান। এইব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণেরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।  

বি.আলম খাঁন ট্রেডিং এর মালিক নওশাদ খান রোখন জানান, আমার কাছে সম্পূর্ণ বৈধ ভাবে ব্যবসায়িক সকল প্রকার কাগজপত্র থাকার পরেও এই চাঁদাবাজ চক্রের কারণে সুষ্ট ভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।

এইব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলমগীরের চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে বি.আলম খাঁন ট্রেডিং এর মালিক নওশাদ খান রোখন আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এই বিষয়ে অধিকতর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ