বাঁশখালীতে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের অবস্থান, অভিযোগ ভুক্তভোগীর

এম আলমঃ
বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউপির কোপিয়া ডোংরা গরাহাজীর বাড়ির মোক্তার আহম্মদ বিগত ৪/৫ বছর পূর্বে তার বাড়ির চলাচল পথ তৈরী করার জন্য একই এলাকার জৈল্লার বাড়ীর নুর আহম্মদের ছেলে জাফরের নিকট থেকে নিন্ম তফসিল ভুক্ত জায়গা ক্রয় করেন। পরে উক্ত ক্রয়কৃত জায়গায় মোক্তার আহম্মদ তার বাড়ির চলাচলের পথ তৈরী করার চেষ্টা কালে একই এলাকার লতানীমর বাড়ীর ছাবের আহাম্মদের ছেলে জন্টু জোরপূর্বক ওই জায়গা দখলের চেষ্টা চালায়। ঐ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে উক্ত জায়গা নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়।

দীর্ঘ সময় ধরে দুপক্ষের মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা চলার পর এইবছরের জানুয়ারীর ১৩ তারিখে স্বাক্ষরিত আদালতের রায়ে মোঃ মোশারফ হোসেন, যুগ্ম জেলা জজ, বাঁশখালী চট্টগ্রাম উক্ত বিরোধীয় তফসিলভুক্ত জায়গায় চলাচলের পথ তৈরী করার জন্য মোক্তার আহাম্মদকে রায় প্রদান করেন।

বাঁশখালী যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ১৮২/১৫ নং মোকদ্দমার বিগত ১৯/১১/১৮ইং তারিখের রায় ও ডিক্রি বাস্তবায়ন কল্পে পুলিশি সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ চেয়ে এই বছরের ৬ই জুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বাঁশখালী থানা বরাবরে আবেদন করা হয়।

পরে বাঁশখালী থানার ওসি উক্ত আবেদনের দায়িত্বভার দেন বাহারছড়া ফাড়ির ইনচার্জ রফিকুল হাসানকে। গত ১০ই জুন আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে মোক্তার আহাম্মদের লোকজন তার বাড়ির চলাচলের রাস্তা তৈরির চেষ্টা কালে ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম তাদেরকে রাস্তা তৈরীতে সহায়তা না করে উল্টো প্রতিপক্ষের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা খেয়ে কাজ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ উঠে।

পরে অভিযোগের বিষয়ে বাহারছড়া ফাড়ির ইনচার্জ রফিকুল হাসানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি এ-ব্যাপারে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাকে এই কয়দিনে কয়েকশত বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি এবং দেখাও করেনি।

এব্যাপারে বাঁশখালী থানার ওসি রেজাউল করিমের নিকট জানতে চাইলে, তিনি জানান আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এছাড়াও ইনচার্জ রফিকুল হাসানের সাথে এ-ব্যাপারে আলাপ করবেন বলে জানান।

এই বিষয়ে বাঁশখালী থানার ওসি রেজাউল করিম কোন সমাধান দিতে না পারায় পুলিশ সুপার, চট্টগ্রামকে বিষয়টি জানানো হলে, তিনিও বলেন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এছাড়া আমি ওসি, বাঁশখালীকে উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি।

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার উক্ত বিষয়টি সমাধানের জন্য বাঁশখালী থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করলেও তিনি এখনো পর্যন্ত কোন সমাধান দিতে পারে নাই।

তফসিলঃ
মৌজা- রায়ছটা, থানা- বাঁশখালী খরিদা ও আপোষ মতে হারাহারি চিহ্নিত দখলী ২নং তফশিলের আন্দর বি,এস, ১২০৯ খতিয়ানের বিএস ১৩০০৪ দাগের আন্দর .৪ শতক জমির উপর পূর্ব-পশ্চিম লম্বা ১৮০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৯ ফুট প্রস্থ (১৮০x৯)= ১৬২০ বর্গফুট চলাচলের রাস্ত বিরোধীয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ