বাঁশখালীর বৈলছড়িতে আগুনে পুড়ল ১২ দোকান, ক্ষয় ক্ষতি দেড় কোটি টাকা, আহত ৮


বৈলছড়ি নিজস্ব সাংবাদদাতা
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের প্রধান সড়ক সংলগ্ন কে বি বাজারে এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।গত ২১ মে ভোররাতে বৈলছড়ি ইউনয়িনরে সাবেক চেয়ারম্যান বদরুদ্দীন চৌধুরীর মালিকানাধীন দোকানে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১২টি দোকানের মালামাল সর্ম্পূণ পুড়ে গিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক সূত্রে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার ভোরে চিত্ত রঞ্জনের মালিকানাধীন কসমেটিকস ও সেন্ডেলের দোকানে ধূপ (আগরবাতি) জ্বালানোর সময় আগুনের সূত্রপাত হয়েছেে বলে তাদের ধারণা। তবে কেউ কেউ বলছেন বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান,আগুন মুহূর্তের মধ্যে পাশের আরো দোকানে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা তীব্রতর হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ১২টি দোকানের মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।অগ্নিকাণ্ডে বাসু দাশের মালিকানাধীন কাপড়ের দোকান, মো.নাজিম উদ্দিনের দর্জি দোকান, ডা. যতশি বাবুর ফার্মেসি, চিত্ত বাবুর কসমেটিকস ও সেন্ডেলের দোকান, লক্ষী পদ দাশের হোমিওপ্যাথিকের দোকান, লটিন দাশের স্বর্ণের দোকান, হার্ডওয়ারের দোকান ২টি, আশীষ দাশের পানের গোডাউন, আমির হোসেনের কুলিং কর্নার ও ফ্রুটসের দোকানসহ পাশের আরো ৩-৪ টি দোকান পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলে খবর পেয়ে ত্রিশ মিনিটের মধ্যে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে টিনের ছাদে হাত পা কেটে অন্তত ৭-৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের একজন দোকান মালিক আমির হোসেন জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হলে মুহূর্তের মধ্যে আগুন সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ১২টি দোকানসহ আরো কয়েকটা দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে আমাদের পরিবার চালানোর একমাত্র আয়ের স্থান দোকান পুড়ে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরা। ঘুরে দাঁড়াবার মতো কোন সহায় সম্বল নাই।
বাঁশখালী ফায়ার টিমপ্রধান লটিন বসনু জানান, ঘটনা সংঘটিত হওয়ার আধ ঘন্টার মধ্যে খবর ফেলে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনি।
এদিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দীনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ