মায়ের পা ধুয়ে ভালবাসা দিবস উদযাপন

টাঙ্গাইলে বুধবার সকালে ভিন্ন আঙ্গিকে বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালিত হয়েছে। হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের উদ্যোগে এসপি পার্কে মায়েদের পা ধুয়ে ভালবাসার প্রকাশ ঘটানো হয়।

এতে শতাধিক মা ও তাদের ৩-৬ বছরের সন্তান অংশ নেন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুরা যেমন মাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে শিখবে, ঠিক তেমনি তাদের ভালবাসার গভীরতাও বাড়বে।

শুরুতে মায়েদের পা ধুয়ে দেন শিশুরা। পরে মায়ের জন্য ভালবাসা স্লোগান দিয়ে শিশুরা তাদের মায়েদের গলায় মেডেল পরিয়ে দেন। হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের চেয়ারম্যান সাংবাদিক নওশাদ রানা সানভীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইলের ডিসি মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিজের রক্ত দিয়ে মা তার সন্তানকে জন্ম দেয়। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে তাকে অতি যত্মে ও আদর স্নেহে তাকে বড় করে তুলে। তাই পৃথিবীতে মা ও সন্তানের ভালবাসার সমতুল্য অন্য কারো ভালবাসা হতে পারে না।

টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এডিসি (শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি) মো. সেলিম আহমদ, এএসপি (অপরাধ) মো. আহাদুজ্জামান মিয়া, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, লায়লা খানম, জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা কাজী গোলাম আহাদসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থী রিয়া আক্তার বলেন, আমার মায়ের পা ধুয়ে দেয়ার পর আমার খুব ভাল লাগছে। আমি আমার মাকে খুব সম্মান ও শ্রদ্ধা করি।

শিক্ষার্থী আসিব খান বলেন, বাবা-মাকে আমি অনেক ভালবাসি। ভালবাসা দিবসে আমি মায়ের পা ধুয়ে দিয়েছি। আমার খুব ভালো লাগছে।অভিভাবক শারমিন আক্তার সুমি বলেন, এই অনুষ্ঠানে এসে আমার খুব ভাল লাগছে। নিজের সন্তার আমার পা ধুয়ে দিয়েছে। সে মায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়েছে। আমি মনে করি প্রতিটি সন্তান তার মা বাবাকে এভাবেই সম্মান করুক।

অপর অভিভাবক রচনা ব্যানার্জি বলেন, এ রকম অনুষ্ঠান করার জন্য হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভীকে অনেক ধন্যবাদ। এ ধরনের অনুষ্ঠান প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করার জন্য দাবি করছি।

হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভী বলেন, ভালবাসা দিবসে ভালবাসা শুধু প্রেমিক যুগলের মধ্যে বিনিময় হবে তা নয়। আমি ভিন্ন আঙ্গিকে প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি মায়েদের সম্মানে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি।

আমার মূল লক্ষ্য বৃদ্ধ বয়সে কোন পিতা মাতাকে যেন বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে না হয়। আগে থেকেই যেন প্রতিটি সন্তান তার পিতা মাতাকে সম্মান করতে শিখে সেই লক্ষ্যেই আমার এই অনুষ্ঠান।

ডেইলি বাংলাদেশ/জেএস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ