বাঁশখালীর পূর্ব চাম্বলে জ‌সিম হত্যার নেপথ্যরা এখন ও ধরা ছোঁয়ার বাই‌রে

চট্টগ্রাম জেলার বাশঁখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল গ্রামের হাইদরী পাড়ায়(জঙ্গল চাম্বলে) বসত ভিটার সীমানা নিয়ে জসিম উদ্দিন (২২) এবং প্র‌তিপ‌ক্ষের সা‌থে দীর্ঘ‌দিন বি‌রোধ ছিল। এই সূত্রের জের ধ‌রে জ‌সিম ( ২২) না‌মের এক যুবককে প্রতিপক্ষরা নির্মমভাবে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ব‌লে জানান অ‌ভিযু‌ক্তের প‌রিবার। বা‌দির বক্তব্য ঘটনার সূত্র বর্ণনা অনুযায়ী,আমরা সরকারী বন‌ বিভা‌গের জায়গায় দীর্ঘকাল যাবত বসবাস ক‌রে আস‌ছি।কিন্তু বর্তমানে আমরা অসহায় এবং কিছু মানু‌ষ সি‌ন্ডি‌কে‌টের হা‌তে জি‌ম্মি। স্থানীয় নজরুল ইসলাম বাবুল না‌মের এক হত দ‌রিদ্র অসহায় কৃষক ব‌লেন ১৯৮০ সাল হই‌তে পাহা‌ড়ে ঢালু জায়গাতে বসবাস ক‌রে আস‌ছি আর ‌কিছু জ‌মিতে চাষ বাষ ক‌রে দুই বেলা ভাত খে‌য়ে জীবন যাপন ক‌রে আস‌ছি। আমার সংর‌ক্ষিত জায়গা জোর পূর্বক দখল এবং আমা‌কে মারধর ক‌রে আসছে আ‌মি নিরুপায় এমতাবস্তায় আ‌মি কি করব বু‌ঝে উ‌ঠতে পার‌ছিনা। স‌রেজ‌মি‌নে তদন্ত পূর্বক দেখা যায় নজরুল ইসলাম বাবুল শান্ত ও নরম প্রকৃ‌তির লোক হওয়ায় তার জায়গা জোর পূর্বক দখল করে নি‌চ্ছে সি‌ন্ডি‌কে‌টের লো‌কেরা এবং না‌মে বেনা‌মে ষ্টাম্প দি‌য়ে তার সংর‌ক্ষিত সরকারী জায়গা বিক্রয় ক‌রে দি‌চ্ছে ব‌লে ধারনা। তি‌নি ব‌লেন দীর্ঘ‌দিন ধ‌রে প্র‌তিবাদ করে আস‌ছি জা‌নে মে‌রে ফেল‌ার হুমকি ও দি‌চ্ছে।গত কিছু‌দিন আ‌গে আমার বাড়ীর আ‌ঙ্গিনার গাছ জ‌হির উ‌দ্দিন খোকন এবং তার সাঙ্গ পাঙ্গরা বন কর্মকর্তা‌র সা‌থে আতাত ক‌রে গাছ কাট‌তে থা‌কে।এই বিষ‌য়ে বাবুল স্থানীয় ইউপি সদস্য নছির উ‌দ্দিন‌ চৌং এবং চেয়ারম্যান মু‌জিব‌ুল হক চৌং‌ কে বিচার দি‌লেও তারা কোন বিচার ক‌রেন‌নি ব‌লে দাবী ক‌রেন। বর্তমান নজরুল ইসলাম প্রকাশ বাবুল দুই‌টি সন্তান‌কে নি‌য়ে মান‌বেতর জীবন যাপন কর‌ছে। জ‌সিম হত্যার পর হই‌তে বাবুল ভ‌য়ে প‌রিবার প‌রিজন নি‌য়ে পাহা‌ড়ের ঢালু জায়গায় দিনা‌তিপাত জীবন য‌াপন কর‌ছে। জ‌সিম হত্যার নেপথ্যরা এখনও স‌ক্রিয়। বাবুল বারবার বন কর্মকর্তা‌ আ‌নিছ কে এই বিষ‌য়ে অবগত কর‌লেও তি‌নি সরকারী বন রক্ষার বিষ‌য়ে রহস্য জনক ভা‌বে নিরব। গাছ কাটার বিষ‌য়ে কোন প্রকার উ‌দ্দ্যোগ গ্রহন কিংবা দো‌ষি ব্য‌ক্তি‌দের বিরু‌দ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্তা নেন‌নি। বরং যে সব গাছ কাটা হ‌য়ে‌ছে সে গু‌লো জ‌সিম হত্যার তিন নং আসামী মাহমুদু‌ল ইসলা‌মের (২৮) বাড়ী‌তে রে‌খে আ‌সে । ফ‌লে অপরা‌ধিরা আর ও বেপ‌রোয়া হ‌য়ে উ‌ঠে।স্থানীয় সূ‌ত্রে জানা যায় বিগত তিন মাস আ‌গে বসত ভিটার জায়গা জ‌মির বি‌রুদ্ধ‌ে মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র জ‌হি‌র উ‌দ্দিন খোকনের সা‌থে শামসুর পুত্র জ‌সি‌মের ঝগড়া হয়।এই নি‌য়ে চেয়ারম্যান মু‌জি‌ব ও স্থানীয় ৯ নং ইউ‌পি সদস্যদের কে বিচার ও দি‌য়ে‌ছেন কিন্তু কোন সুফল ভিক‌টিমরা পান‌নি। তারা যেন এক অসীম ক্ষমতার অ‌ধিকারী এভা‌বে বর্ণনা দি‌চ্ছেন ভোক্ত ভো‌গিরা। গত নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সকাল ৮.৩০ মি শামসুর সীমানার গাছ কাটতে আ‌সে জ‌হির উ‌দ্দিন খোকন এবং সাঙ্গরা শামসুর পুত্র জ‌সিম বাধা দি‌লে পুনরায় কথা কাটাকা‌টি, মারধরের এক পর্যায়ে জসিম উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় জো‌রে অাঘাত করার সাথে সাথে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সন্তানের এ অবস্থা দেখে নিহত জসীমের বাবা-মা, ভাই-বোন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন ২৩ নভেম্বর, শুক্রবার সকাল ১০ টার সময়।অাহত জসিম উদ্দিন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ কর‌ে।
এ হত্যা ঘটনায় নিহতের বড় ভাই নেজাম উ‌দ্দিন( ৩০) বাদী হয়ে বাশঁখ‌ালী থানায় ৬ জন‌কে আসামী ক‌রে হত্যা মামলা ক‌রে। (মামলা নং ২৬ ) আসামীরা হ‌লেন ১। জ‌হির উ‌দ্দিন খোকন (২৪) পিতা আব্দুর রহমান ২। আবু ছৈয়্যদ (৪৫) পিতা মৃত দুলা মিঞা ৩। মাহমুদুল ইসলাম (২৮) পিতা শ‌ফি আলম ৪। শ‌হিদ‌ুল ইসলাম (২৬) পিতা জা‌কের আহমদ ৫। খ‌দিজা বেগম (২২) স্বামী জ‌হির উ‌দ্দিন খোকন ৬ ।আবু তা‌হের (৫০) ‌পিতা মৃত দুলা মিঞা।
বাশঁখালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. কামাল হোসেন থে‌কে আসামী‌দের গ্রেপ্তার বিষ‌য়ে জান‌তে চাই‌লে তি‌নি ব‌লেন আমরা চেষ্টা চা‌লি‌য়ে যাচিছ অ‌চি‌রেই তা‌দের কে আই‌নের আওতায় আনা হ‌বে। মামলার আইও বিমল ব‌লেন আসামী ধরার জন্য প্র‌চেষ্টা অব্যাহত আ‌ছে। স‌রেজ‌মি‌নে তদন্ত কা‌লে ঘটনার পেছ‌নে ঘটনা এলাকাবাসীর দাবী য‌দি বন কর্মকর্তা আ‌নিছ গাছ কাটা ব্য‌ক্তিদের বিরু‌দ্ধে ব্যবস্তা নিত তাহ‌লে জ‌সিম কে হত্যা কর‌তে পারত না ঐ অ‌ভিযুক্ত ব্য‌ক্তিরা । নাম গোপন রাখা এক ব্য‌ক্তি ব‌লেন এই জায়গার মা‌লিক বন‌ বিভাগ (সরকার) হ‌লেও বন‌ বিভা‌গের কর্মকর্তা আ‌নি‌ছ এবং স্থানীয় কতগু‌লো সাঙ্গ পাঙ্গ ‌সিন্ডি‌কেটের মাধ্য‌মে বন বিভাগের জায়গা না‌মে বেনা‌মে ষ্টা‌ম্পের মাধ্যমে বিক্রয় ক‌রে। শুধু তাই নয় ব‌নের এক‌টি গাছ
কাট‌লেও বন কর্মকর্তাকে টাকা দি‌তে হয়। স্থানীয় বা‌সিন্দারা ব‌লেন রা‌তের আধা‌রে এক শ্রেনীর সিন্ডি‌কেটরা গাছ কা‌টে আর সে গাছ নি‌য়ে যায় প্রভাবশালী এক শ্রেনীর মহলরা। প্র‌তি গাড়ির পেছ‌নে বন কর্মকর্তা আ‌নিছ‌কে দি‌তে হয় ৩০০০ টাকা। পাহাড় কে‌টে মা‌টি বিক্রয় রমরমা ব্যবসা চল‌ছে দেখার কেউ নেই।এ বিষ‌য়ে বন কর্মকর্তা আ‌নি‌ছের অ‌ফি‌সে গে‌লে তা‌কে পাওয়া যায়‌নি মু‌টো ফো‌নে জান‌তে চাই‌লে তি‌নি তা অ‌স্বীকার ক‌রেন। বাবুল সংর‌ক্ষিত জায়গার কাটা গাছ‌ গু‌লো বন কর্মকর্তারা জব্দ না ক‌রে জ‌সিম হত্যা ৩ নং আসামীর ঘ‌রে কেন রাখা হ‌লো তা জান‌তে চাই‌লেও তার কোন স‌ঠিক উত্তর তি‌নি দেন‌নি।জ‌সিম উ‌দ্দিন পিতা ও মাতার দাবী আমরা আমা‌দের ছে‌লে হত্যার বিচার চাই। আর কোন মা‌য়ের বুক যেন খালি না হয়। সংবাদ সংগ্রহকা‌লে জ‌সিমের মাতা পিতাকে অসহায় অবস্থায় দেখা যায় এবং তারা চি‌ন্তিত ক‌বে আসামীরা ধরা পড়‌বে এবং তা‌দের ছে‌লে হত্যার বিচার পা‌বে। প্রশাস‌নের কা‌ছে জোর দাবী তা‌দের ছে‌লে‌কে যারা হত্যা করে‌ছে তা‌দের কে যেন আই‌নের আওতায় আনা হউক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ